অনুমোদনের আড়াই বছর পার হলেও সংস্কার কাজ শেষ হয়নি পাংশা রেলগেট থেকে সরদার বাসষ্ট্যান্ড হয়ে মৃগি পর্যন্ত সড়কটি। বেশ কিছুদিন আগে বাসষ্ট্যান্ড থেকে মৃগি মুখে সংস্কার শুরু হলেও তা আবার থমকে গেছে কোন এক অদৃশ্য কারণে।
সংস্কারের অভাবে দির্ঘদিন ধরে পরে থাকায় রাস্তার বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানা-খন্দের। এছাড়াও শুকনা মৌসুমে তৈরি হয় প্রচন্ড ধুলা। এই রাস্তার পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোকে প্রতিদিন ধুলার আবরণ পরিস্কার করতে হয়। এছাড়াও সৃষ্টি হচ্ছে শ্বাসকষ্টজনিত রোগের। পাশাপাশি বৃষ্টি মৌসুমে তৈরি হয় মাঝারি আকারের গর্ত। চলাচলের সময় এসব গর্তের মধ্যে চাকা আটকে মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন যানবাহন উলটে পরে গিয়ে আহত হন চালক ও যাত্রীগন। বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সরদার বাষ্ট্যান্ড থেকে বাজার মুখি মানুষদের। পাংশা রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে রেলগেট পর্যন্ত রাস্তাটির অবস্থাও খারাপ। এসব রাস্তায় চলাচলকারি মানুষ দূর্ভোগ পোহাচ্ছে নিত্যদিন।
দীর্ঘদিন মেরামত না করা ও ভারি যানবাহন চলাচলের কারনে সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়কে ঢাকাগামী বাস সহ অতিরিক্ত পন্যবাহী ট্রাক, মাইক্রো বালু-মাটিবাহী ড্রাম ট্রাক, বাটা হাম্বার, নছিমন, করিমন, ট্রলি, ইজিবাইক, ভ্যান, অটোভ্যান, বায় সাইকেল ও মোটর সাইকেল চলাচল করে।
পাংশা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পাংশা রেলগেট থেকে মৃগি পর্যন্ত ১০৯০০ মিটার জিসি সড়কটি সংস্কার করবার জন্য ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর অনুমোদন দেয়া হয়। পরে সেটি হাত বদল হয়ে অন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে যায়।
সংস্কার কাজ কেন থেমে আছে জানতে বর্তমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে একাধিকবার তার মুঠো ফোনে কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পৌর মেয়র ওয়াজেদ আলী বলেন, রেলগেট থেকে মৃগি জিসি সড়কটি এলজিইডি এর অধীনে। যে কারণে আমার কিছু করার নেই।
এ বিষয়ে এলজিইডির পাংশা উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।