কোনো রকম ভোগান্তি ও টাকা-পয়সা ছাড়া ভিডব্লিউবি কার্ড হাতে পেয়ে খুব খুশি হয়েছেন মজিরন নেছা। এই কার্ডের মাধ্যমে আগামী দুই বছর তিনি প্রতিমাসে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন। এর জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় হতে কার্ডটি হাতে পেয়েই তিনি মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিকে এসে উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আসেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে।
সেখানে আলাপকালে মজিরন নেছা দৈনিক আমাদের রাজবাড়ীকে বলেন, ছোটভাকলা ইউনিয়নের নলডুবি গ্রামে তার বাড়ি। স্বামী আলতাফ শেখ অনেক বছর আগে মারা গেছেন। খুব কষ্টে মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবন বাঁচাই। এ অবস্থার মধ্যে প্রায় ২ বছর আগে তার মেয়ে জামাই আবু বক্কার শেখ বজ্রপাতে মারা যায়। মেয়ে রিনা বেগম দুইটা কন্যা সন্তান নিয়ে অকালে বিধবা হয়ে পড়ে। স্বামীর কোন সহায় সম্বল না থাকায় সে দুটো মেয়েকে নিয়ে আসে আমার বাড়িতে। আমাদের অসহায়ত্ব আরো বেড়ে যায়। মা-মেয়ে লোকের বাড়িতে কাজ করে এতিম মেয়ে দুটোকে নিয়ে কোন মতে চলতে থাকি।
এ অবস্হায় একদিন গোয়ালন্দ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সির সাথে দেখা করে তাদের অসহায়ত্বের কথা জানাই। তিনি আমার ভোটার আইডি কার্ড আনতে বলেন। সেটা এনে দেই। কিন্তু আমার বয়স বেশি হওয়ায় মেয়ে রিনা বেগমের ভোটার কার্ড আনতে বলেন। সেটা এনে ভিডব্লিউবি কার্ডের জন্য একটা আবেদন জমা দিয়ে যাই অনেকদিন আগে। এতদিন পর চেয়ারম্যানের অফিস থেকে আমাকে খবর দেয় কার্ড নিয়ে যাওয়ার জন্য। এটা পেতে কাউকে কোন টাকা-পয়সা দিতে হয়নি। কোনো হয়রানিও হতে হয়নি। “এই কার্ড তাদের ভাতের কষ্ট দূর করবে।” আমরা খুব খুশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য অনেক দোয়া করি। তিনি দীর্ঘজীবী হোন। আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যানের জন্যও অনেক দোয়া রইল। তারা যেন আরো বেশি বেশি দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারে।
গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সী বলেন, মজিরন-রিনা’র মতো অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ধরনের কার্যক্রম বেগবান করেছেন। একটি সত্যিকারের অসহায় মানুষের হাতে কার্ডটি তুলে দিতে পেরে আমিও খুব আনন্দিত।