দেশের মধ্যে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলা মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনে খ্যাত। এর মধ্যে পেয়াঁজ উৎপাদন সবার শীর্ষে। চলতি মৌসুমে এক দিকে অসময়ে বৃষ্টি অন্যদিকে উৎপাদন কম, উৎপাদন খরচের চেয়ে বাজার মূল্য অনেক কম হওয়ায় দফায় দফায় লোকসানের বোঝা গুনতে হচ্ছে কৃষকের। ফলে মণ প্রতি দাম ৩শ হতে ৭শ টাকা হওয়ায় অনেকে হতাশ হয়ে বিক্রি না করে বাড়ী ফিরছে।
বৃহস্পতিবার বালিয়াকান্দি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করতে আশা বহরপুর ইউনিয়নের ডহরপাচুরিয়া গ্রামের রনজিত রায় জানান, ৭ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছিল ফলন ভাল হয়নি। মনপ্রতি খরচ হয়েছে ১ হাজার ২শ টাকা হতে ১ হাজার ৩শ টাকা। মনপ্রতি ৬৫০ টাকা দরে লালতীর পেঁয়াজ বিক্রি করেছে। এতে ক্ষেত থেকে তুলে বাজারে আনার খরচ হচ্ছে না। আমার এলাকার মিজান নামের এক কৃষক নছিমন ভরে এনেছিল ফিরিয়ে নিয়েছে। বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের কৃষক বছির উদ্দীন ও খলিলুর রহমান জানায়, পেঁয়াজ এনেছিল সাড়ে ৫শ টাকা করে বিক্রি করেছে। আর কয়েকদিন পরেই ঈদ। পরিবারের সদস্যের এবার পোষাক কেনা হবে না। কানাবিলা গ্রামের স্বরজিত বালা জানায় , ৩ বিঘা জমিতে লালতীর পেঁয়াজ করতে লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। পেঁয়াজ তোলার আগে বৃষ্টি হওয়ায় পেঁয়াজ ঘরে রাখা যাবেনা দাম যাই হোক বিক্রি করতে হবে। ছবেদ আলী আলী জানায়, ২মন ফাটা পেঁয়াজ এনেছিলাম ৩শ টাকা দরে বিক্রি করেছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এ বছর পেঁয়াজ বীজ ত্রুটি। ফলন কম। তারপর অসময়ে বৃষ্টি। পেঁয়াজ ঘরে রাখা যাবে না। সকল কৃষকের এসময় অন্য ফসল আবাদ করতে অর্থের প্রয়োজন। এরপর রমজান মাস সব মিলেই কৃষককে পেঁয়াজ বিক্রি করতেই হবে। ফলে বাজারে পেঁয়াজের আমদানি বেশী বলে দাম কম। বাজারের এ অবস্থায় কৃষকের লোকসানের বোঝা মাথায় নিতে হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, কৃষকের উৎপাদিত ফসলের জন্য সরকারি বা বেসরকারীভাবে হিমাগার নির্মাণ করা প্রয়োজন। কাঁচাপণ্যের সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকলে কৃষকের এমন ক্ষতি হতে থাকবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করবো।