গোয়ালন্দে পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে স্ত্রীর অধিকার আদায়ে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান করছেন চাচী। তিনি তিন সন্তানের জননী। ভাতিজা নিজেও দুই সন্তানের জনক। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। চাচি তার পরকীয়ায় জড়িয়ে পরার পরে গোপনে তার স্বামীকে তালাক দিয়েছে।
ভাতিজা মো. সাদ্দাম হোসেন গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৮ নং ওয়ার্ড জিতু শেখের পাড়ার বাসিন্দা মো.শহীদ শেখের বড় ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই নারী প্রবাসী মো.ইলিয়াস হোসেনের স্ত্রী। দীর্ঘ দিন ধরেই চাচি-ভাতিজা পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িত রয়েছেন বলে জানা যায়। স্থানীয়রা জানান, ওই নারীর স্বামী দীর্ঘ নয় বছর দেশে না আশার সুবাদে এই সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। এর আগেও অসামাজিক কার্যকলাপে দায়ে একলক্ষ টাকা অর্থদন্ড দেয় ভাতিজা এবং (চাচি)।
ওই নারী বলেন, সাদ্দাম হোসেন আমাকে বারবার কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। আমি তাকে প্রথম প্রথম কোনো পাত্তা দিতাম না। কিন্তু ভাতিজা দীর্ঘদিন ধরে আমার পিছনে পিছনে ঘুরাঘুরি করতে করতে কখন জেনো মনের অজান্তেই ভাতিজার প্রেমে পড়ে যাই। আমাদের মধ্যে প্রায় নয় বছরের সম্পর্ক। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সে বারবার আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। ওকে ভালোবেসে আমি গত এক বছর যাবৎ আমার স্বামীকে গোপনে তালাক দেয়। কিন্তু আমার স্বামী প্রবাসে থাকার কারণে বিষয়টি জানানো হয়নি। গত ২১ মার্চ ভাতিজা সাথে গোপনে দশ লক্ষ টাকা দেন মহর ধার্য করে আমাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। কিন্তু সে আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে মাঝ পথে রেখে পালিয়ে যায়। তাই আমি স্ত্রীর অধিকার আদায়ের জন্য অনশন করছি। সে যদি আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দেয় তাসলে আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো. সাদ্দাম হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলে তার সংযোগ পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো.ফজলুল হক বলেন, আমি ঘটনাটি লোক-মুখে শুনেছি। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ঘটনা স্থলে গিয়ে কাউকে পাইনি।