রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে দৌলতদিয়া মুক্তি মহিলা সমিতির নির্মাণাধীন ভবনের বালিতে পুতে রাখা অজ্ঞাত যুবকের লাশের পরিচয় মিলেছে। মরদেহের পাশে পরে থাকা মুঠোফোনের প্যাকেটে থাকা নাম্বারে ফোন করে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ তার পরিচয় নিশ্চিত হন।
নিহত যুবকের নাম সোহান শেখ (২১)। সে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া বাহিরচর ছিদ্দিক কাজীর পাড়ার আলামিন শেখের ছেলে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর পাশে অবস্হিত বেসরকারি সংগঠন মুক্তি মহিলা সমিতির নির্মানাধীন ভবনের নিচতলায় রাখা বালির নিচ থেকে থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। তার মাথায় ও গলায় ধারালো অস্ত্রের জখম এবং কাঠের বাটাম দিয়ে পেটানোর আলামত রয়েছে। লাশের পাশে একটি রক্তাক্ত কাঠের বাটামও পড়ে ছিল। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার দৈনিক আমাদের রাজবাড়ী পত্রিকার “নির্মানাধীন ভবনের বালুর নিচে অজ্ঞাত যুবকের লাশ” শিরোনামে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ হত্যাকান্ডের বিষয়ে মাদক, ব্যাক্তিগত শত্রুতাসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্হানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত সোহান ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত। তার বাবা দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। সপ্তাহ খানেক আগে সোহান গ্রামের বাড়িতে তার মা ও ছোট ভাই-বোনদের কাছে বেড়াতে আসে।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর পোষ্ট মর্টেম সম্পন্ন করে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্বজনরা লাশ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি। তবে রাতে মামলা হতে পারে। তবে আমরা এ হত্যাকান্ড নিয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি। আশা করি আমরা শীঘ্রই ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হব।