স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ উদ্যাপনের শুভক্ষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। এ সাথে সকল শিশুসহ পদ্মাকন্যা রাজবাড়ীবাসীর প্রতি জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা। তিনি ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ছেলেবেলা থেকেই তিনি ছিলেন সৎ, সাহসী ও উদ্যমী। অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করতেন। প্রতিবাদী বঙ্গবন্ধুর দৃঢ়চেতনা ব্যক্তিত্বের সূচনা হয়েছিল শৈশবেই। শৈশবে যে সংগ্রামী চেতনার বীজ বপন হয়েছিল, তা মহীরূহ হয়ে উঠে জন্ম দিয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধুর জীবন আর বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা।
বঙ্গবন্ধু শিশুদের দেশপ্রেমিক, আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তিনি শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও পরিচর্যার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিতেন। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল অপরিসীম মমতা। তিনি শিশুদের কল্যাণে রাষ্ট্রের কর্তব্য সম্পর্কে বিশেষ বিধান সংবিধানে যুক্ত করেছিলেন। তিনি ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করেন এবং প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার উন্নয়ন ও সুরক্ষার বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে জাতীয় শিশু নীতি ২০১১, শিশু আইন ২০১৩ ও বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ প্রণয়ন করেছে।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার প্রত্যয়ে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সক্ষম হবো।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৩ এ রাজবাড়ীবাসীর সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করছি।
জয় বাংলা।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
আবু কায়সার খান
জেলা প্রশাসক
রাজবাড়ী।