রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণের বেশী সরিষার আবাদ হয়েছে। এতে একদিকে যেমন ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণ হবে অন্যদিকে লাভবান হবেন কৃষক। ইতোমধ্যে বারী-১৪ জাতের সরিষা কাটা শুরু করেছেন অনেকেই।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরিষা আবাদের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেই সাথে কৃষকদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বল্প সময়ে ভালো ফলন হয় বারী-১৪ জাতের সরিষার। ইতিমধ্যে মাঠে পেকে যাওয়া বারী-১৪ জাতের সরিষা ঘরে তোলা শুরু হয়েছে। এছাড়া দীর্ঘ সময়কালের রকেট সরিষার আবাদ করেছেন কৃষক। সেগুলো পরিণত হতে একটু সময় লাগবে।
নবাবপুর ইউনিয়নের বেরুলী গ্রামের কৃষক ওসমান মন্ডল, জাফর মন্ডল , ইকবাল মন্ডল, মজিবর মন্ডলসহ অনেকেই জানান, তারা একটি গ্রুপে ১০ একর বারী-১৪ সরিষা করেছেন। ২ বিঘা জমির সরিষা মাড়াই করে ১২ মণের অধিক হয়েছে। এ সরিষার তেলে স্বাদও রয়েছে। অন্যান্য ফসলের চেয়ে সরিষার আবাদে খরচ ও ঝুঁকি কম থাকে। সরিষার খৈল মাছের খাবার ও পান বরজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সরিষা তোলার পর ঐ জমিতে পাট বপণ করবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, প্রতিবছর সরকার ২০-২৫ হাজার কোটি টাকা ভোজ্যতেল আমদানীতে ব্যয় করছে। এ ব্যয় হ্রাস করতে ৪০ভাগ সরিষার উৎপাদন বাড়াতে ত্রি-বার্ষিকী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সে নির্দেশনায় এ বছর আবাদ হয়েছে ৬৫০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ। কোন কোন কৃষক সরিষা কাটা শুরু করেছেন। তাদের বিঘা প্রতি ফলন হয়েছে ছয় থেকে সাড়ে ছয় মণ। যা আশার থেকেও বেশি।