রাজবাড়ীর পাংশা হাবাসপুর ইউনিয়ন থেকে আকাশ(১১) নামে দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার ইউপির নতুনপাড়া পদ্মা নদীর চরে এক ভুট্টা ক্ষেত থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ধারনা করা হচ্ছে হত্যা করে শিশুটিকে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে।
নিহত আকাশের মামা রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ১১ তারিখ বিকালে ওর বাবার ভ্যান গাড়িটি নিয়ে বের হয়। পরে রাত হয়ে গেলেও বাড়িতে না ফেরায় আমরা তাকে অনেক খোজা খুজি করি। না পেয়ে পরের দিন পাংশা মডেল থানায় একটা নিখোজ ডায়েরী করি। এবং আমাদের এলাকা থেকে পাংশা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানের সিসি ফুটেজ চেক করে ভিডিওতে দুজন লোক ও ভ্যান সহ আকাশকে দেখতে পাই।
এরপর সন্ধান চালিয়ে সন্দেভাজন একজকে পাই। পরে পুলিশ ওই সন্দেহভাজনকে আটক করে জিজ্ঞাস্বাবাদ করে। তার দেয়া তথ্যমতে হাবাসপুর পদ্মা নদীর চরে ভুট্টা ক্ষেতের ভিতর আমার ভাগ্নেকে হাত-পা বাধা মৃত অবস্থায় পাই। নিহত আকাশ এর পিতা ভাংড়ি ভ্যাবসায়ী নাসির এর বাবার বাড়ি উপজেলার যশাই ইউপির কাঞ্চনপুর গ্রামে। সে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বিগত কয়েক বছর যাবত বাহাদুরপুর ইউপির কালীতলা শশুর শাহাদত শেখ (বুড়ো শেখ) এর বাড়িতে থাকতো। নিহত আকাশ সেনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিলো।
পাংশা থানার ওসি মাসুদুর রহমান জানান, এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।