পাংশা হাসপাতালের সামনে উপজেলা পরিষদের জমি দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সড়কের ২ পাশে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে ঔষধের দোকান, মুদি দোকান ও ফ্লেক্সিলোডের দোকানসহ প্রায় ১৪-১৫টি দোকান নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দোকান রয়েছে।
উপজেলা পরিষদের জায়গায় কে দিয়েছেন তাদের দোকান করার অনুমতি কে নেন ভাড়া এ নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কেউ মুখ খুলতে রাজী নন।
হাসপাতাল গেটের সামনের একজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখানে দোকানঘর নির্মাণ করতে হলে প্রভাবশালীদের সাথে সখ্যতা থাকলে এখানে ব্যবসা করা যায়।
জনমনে প্রশ্ন উঠেছে এমন কোন প্রভাবশালী রয়েছেন যে কেউ তার নাম বলতে নারাজ। কে সেই ব্যাক্তি সরকারি জায়গায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করার অনুমতি দিয়ে গোপনে নিয়মিত ভাড়া নিচ্ছেন বা আজীবন মেয়াদে এক কালিন ভাড়া নিয়েছেন।
এ ব্যপারে হাসপাতাল গেটের সামনের দোকান দারদের সাথে কথা হলে, তাদের সরল উক্তি আমরা কাউকে ভাড়া দেই না। এখানে কে দোকান করার অনুমতি দিয়েছেন এমন প্রশ্নে আর কথা বলেন না কেউ। এদিকে কিছুদিন আগে হাসপাতাল গেটের সামনে এক নারী চিকিৎসকে মারধর করার ঘটনাও ঘটেছে এ ব্যাপারে মামলাও হয়েছে।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মোহাম্মাদ হাসনাৎ আল মতিন বলেন, হাসপাতালের গেটের সামনে এটি উপজেলা পরিষদের জায়গা এখানে কে বা কারা দোকান ঘর নির্মান করার অনুমতি দিয়েছেন তা আমার জানা নেই তবে এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কারনে বিভিন্ন সময় হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের লাঞ্ছিত হওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে সেবা নিতে আসা মানুষের সাথেও দোকান দারদের বিভিন্ন সময় হাতাহাতির ঘটনা শুনেছি, হাসপাতালের গেটের সামনে থেকে এ দোকানপাট অপসারণ করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ আলী বলেন, সরকারি জায়গা দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কোন বিধান নেই। বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। যদি উপজেলা পরিষদের জায়গা হয়ে থাকে তা হলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নিব।
এ ব্যাপারে পাংশা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ফরিদ হাসান ওদুদ বলেন বিষয়টি নিয়ে আমি ইউএনও সাহেবের সাথে কথা বলে দেখব কি করা যায়।