বর্তমান সমাজে দেখা যাচ্ছে যে অনেকেই পঞ্চাশ হাজার টাকা বেতন পেয়ে মাসে সংসারের খরচ ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা খরচ করে থাকেন। যদি তার কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ছেলে মেয়ে থাকে এবং বাবার দিকে প্রশ্নবোধকভাবে তাকিয়ে মানসিক ভাবে দূর্বলতা প্রকাশ করে? ছেলে মেয়েরা বাবাকে প্রশ্ন করলে বাবা হয়ত ছেলে মেয়েকে ধমক দিবেন অথবা শারীরিকভাবে আঘাত করবেন। কিন্তু তাতে সে নিবৃত হবেনা, মনে মনে গুমরে গুমরে কাঁদবে আর ভাববে তাহলে কি আমি দূর্নীতিবাজ পিতার সন্তান ? আমি কি ঘুষখোরের সন্তান? সে সমাজে মানসিকভাবে বড় হতে পারবে না। সমাজে আজ এ এক বড় সমস্যা।
ঘুষ দুর্নীতি বন্ধ হলে সেই টাকায় হতে পারত বড় বড় স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল এমনকি আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর মত স্থাপনা। ঘুষ দূর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার সোচ্চার হলেও উচ্চ পদস্ত কিছু কর্মকর্তাদের অভিলাষের কারনে দেশ আজ চরম সংকটে। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে, অতীতে হয়েছে বর্তমানেও হচ্ছে। সরকারি ও বিরোধী দলের অনেকেই আজ একারনে কারাভোগ করছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা দুর্নীতির প্রশ্নে জিরো টলারেন্সের কথা বললেও তাহা শতভাগ সফলতা আসছে না। আজ দুর্নীতি প্রতিরোধ দিবসে আমাদের মূল্যায়ন হওয়া উচিৎ এই যে, স্বাধীনতার দীর্ঘ বছর পর আমরা কতটুকু দুর্নীতি মুক্ত হতে পেরেছি। দুর্নীতি প্রতিরোধ ও নির্মূল করতে দুর্নীতি পরায়ন ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আমরা দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সচেতনতা কমিটির মাধ্যমে কাজ করে আসছি। তাহাতেও দুর্নীতি পরায়ন লোকগুলি নিবৃত হচ্ছে না, এদের যথাযথ আইনের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও শাসন বিভাগের কিছু কিছু ক্ষেত্রও আজ দূর্নীতির আখরায় পরিনত হয়েছে-যাহা আমাদের প্রত্যাশা নয়। আসুন বিজয়ের মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতি বিরোধী নীতির আলোকে সোচ্চার হয়ে উঠি। বিজয়ের এ মাসে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ৩ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্বাধীনতার মূল উপজীব্য তুলে ধরে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ে তুলি।
কথায় নয় কাজে এসে নিজে দুর্নীতিমুক্ত থেকে অপরকে দুর্নীতিমুক্ত করি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার
সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ, রাজবাড়ী
এবং সভাপতি, রাজবাড়ী জেলা
ঘুষ দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক সচেতন কমিটি।
মোবাইল : ০১৭১১-৮৪৯৩৪০