স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংসদ নির্বাচনের ফরিদপুর-১ আসন (বর্তমান রাজবাড়ী-১) থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য, ফরিদপুর অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম তরুণ সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এস এ মালেক ইন্তেকাল করেছেন। গত ৬ নভেম্বর (মঙ্গলবার) রাত ১১টায় ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রথিতযশা এই বরেণ্য রাজনীতিবিদ বঙ্গবন্ধুর ৬দফা আন্দোলন, ৬৯এর গনঅভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এর সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ জাতীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিভিন্ন দুর্যোগে প্রাচীরের মত ঢাল হয়ে আওয়ামী লীগে যুক্ত ছিলেন। তিনি ৭৫সালে আওয়ামী লীগের ভয়াবহ দুঃসময়ে আওয়ামী লীগকে উজ্জীবিত করতে ঝুকি নিয়ে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২১ বছর পরে ক্ষমতায় আরোহন করলে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র রাজনৈতিক উপদেষ্টা’র দায়িত্ব পালন করেন।এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তথ্যানুসন্ধান সুদৃঢ় করতে বঙ্গবন্ধু পরিষদ গঠনে অন্যতম প্রতিষ্ঠাতার দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর পূর্বে জাতির বীর সেনানী বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি চারজন সন্তানসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
ডা. এস এ মালেকের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে দৈনিক আমাদের রাজবাড়ী পরিবারের পক্ষ থেকে স্মৃতিচারণ করেছেন দৈনিক আমাদের রাজবাড়ী পত্রিকার প্রকাশক ও রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার। তিনি বলেন, জাতীয় নেতা ও ৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগ এর দুঃসাহসিক কান্ডারী ডা. এস এ মালেক ৭০ দশকের রাজবাড়ীর রাজনীতিতে আমাদের অভিভাবক ছিলেন। তাঁকে ঘিরেই আমরা রাজপথে সক্রিয় থেকেছি। জীবদ্দশায় তিনি সবসময়ই আমাদের সকল স্বতীর্থদের খোঁজ খবর রাখতেন। তার আদর্শে আমরা উজ্জীবিত থেকেছি। তাঁর এই প্রয়ান আমাদেরকে ব্যথিত ও বিহবল করেছে। আমি আল্লাহর কাছে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।