রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের আলোকদিয়া গ্রামে আক্তার কাজী নামে এক ব্যক্তির জমি থেকে জোরপূর্বক পাঁচটি মেহগনি গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগ প্রতিবেশি সোবহান শেখ ও মনির হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বালিয়াকান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে অভিযুক্তরা দাবি করেছেন, তারা তাদের জমি থেকে গাছ কেটেছেন।
ভুক্তভোগী আক্তার কাজী জানান, ক্রয়সূত্রে জমিটির মালিক তার স্ত্রী। ৩১ বছর আগে দুই দাগে ১৪ শতাংশ জমি কেনা হয়েছিল। জমিটিতে তারা মেহগনি গাছ রোপণ করেছিলেন। গাছগুলো অনেক বড় হয়েছে। কেউ কখনও এই জমিটি দাবি করেনি। হঠাৎ করেই গত ২৪ নভেম্বর প্রতিবেশি সোবহান শেখ লোকজন নিয়ে তিনটি মেহগনি গাছ কেটে নিয়ে যায়। ওই সময় তিনি বাধা দিলেও কোনো লাভ হয়নি। এ ঘটনায় তিনি ২৭ নভেম্বর বালিয়াকান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। গতকাল রোববার আরেক প্রতিবেশি মনির হোসেন দলবল নিয়ে গাছ কাটতে আসে। তিনি বাধা দিতে গেলে তাকে মারতে উদ্যত হয়। তারা দুটি গাছ কেটেও ফেলে। পরে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ এসে গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়।
অভিযুক্ত মনির হোসেন জানান, আমার জায়গা থেকে আমি গাছ কেটেছি। আক্তার কাজী এসে বাধার সৃষ্টি করেছে। অপর অভিযুক্ত সোবহান শেখের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানান তিনি।
অপর অভিযুক্ত সোবহান শেখ জানান, আমাদের জমি থেকে গাছ কেটে ঘর করছি। কারও জমি থেকে গাছ কাটিনি। আগামী শুক্রবার জমি মাপার ডেট দেওয়া হয়েছে। যেখানে ঝামেলা সেখানে আমরা কাটিনি।
বালিয়াকান্দি থানার এসআই মো. তুহিন জানান, গাছ কাটা নিয়ে একটা অভিযোগ পাওয়ার পর সেখানে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়েছেন। এক পক্ষ বলছে আমরা গাছ লাগিয়েছি। অপর পক্ষ বলছে, আমার জায়গা থেকে আমরা গাছ কাটছি। আগামী ৮ তারিখে জমি মাপার তারিখ নির্ধারণ হয়েছে।