বুধবার দুপুরে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মেগচামী ইউনিয়নের বিলসিংহনাথ মৌজার বিলের ধান ক্ষেত থেকে মানবদেহের হাড়গোড় উদ্ধার করেছে মধুখালী থানার পুলিশ। সেখানে পড়ে থাকা প্যান্টের সাথে বেল্ট দেখে আল আমিনের হাড়গোড় বলে দাবি করে স্বজনরা। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে মুরগী ফার্মের কর্মচারী ছিল আল আমিন (১৭)। ফার্ম থেকে নিখোঁজ হওয়ার ৮৪ দিন পর ঘটলো এ ঘটনা। আল আমিন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের আকিদুল মোল্যার ছেলে।
জানা গেছে, বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের পাইককান্দি গ্রামের মো. আহাদ আলী ফকিরের ছেলে মিজানুর রহমানের মুরগী ফার্মে বেতনভূক্ত কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো আল আমিন। রাতেও ফার্মে অবস্থান করতো। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে খাওয়া শেষে মুরগী ফার্মেই ঘুমিয়ে পরে। পরদিন সকালে আর তাকে পাওয়া যায়নি। তার সন্ধান না পাওয়ায় গত ১১ সেপ্টেম্বর বালিয়াকান্দি থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রী করেন আল আমিনের পিতা মো. আকিদুল মোল্লা। (বালিয়াকান্দি থানার নিখোঁজ ডায়রী নং ৪৫৩/২২) । পরে তিনি রাজবাড়ী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ( মিসপি-৩৭২/২২)। মামলাটি রাজবাড়ী সিআইডি তদন্ত করছেন।
মধুখালী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার মেগচামী ইউনিয়নের বিল সিংহনাথ মৌজার একটি ধান ক্ষেতে হাড়গোড় পড়ে থাকতে দেখে বুধবার সকালে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে সেখানে উপস্থিত হয়ে হাড়গোড় উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এসময় রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, সিআইডি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রাজবাড়ী সিআইডির ইন্সপেক্টর জিল্লুর রহমান বলেন, হাড়গোড় উদ্ধার করে মধুখালী থানা পুলিশ ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করেছেন। সেখান থেকে ডিএনএ টেস্ট করে নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিখোঁজ আল আমিনের ফুফাতো ভাই সাইমোন মোল্যা সেখানে পড়ে থাকা বেল্ট দেখে সনাক্ত করেন হাড়গোড় আল আমিনের। আমরা দ্রুতই সনাক্ত সহ তদন্ত কার্যক্রম আরও গতি এনে অপরাধী সনাক্ত করতে পারবো।