কালুখালী প্রতিনিধি॥
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেককে নানাভাবে নাজেহাল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কখনো থানায়। কখনো কোর্টে। কখনোবা গ্রাম্য আদালতে। সালিস দরবার হয়েছে কয়েক দফা। বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক কালুখালীর রুপসা গ্রামের মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে।
জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল খালেক পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত রুপসা গ্রামের একখন্ড জমিতে তিনি দীর্ঘ ৫০ বছর বসবাস করছেন। নিজ হাতে রোপন করেছেন ফলজ ও কাঠের গাছ। বৃদ্ধ বয়সে সেই গাছ বিক্রি করতে গিয়ে শুরু হয় বিপত্তি। প্রতিবেশি আব্দুর কাদের দাবি করেছেন গাছগুলো তার। থানায় অভিযোগ করে ডেকে আনে পুলিশ। অভিযোগ হয় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতে। জমি পরিমাপ হয় সার্ভেয়ার দিয়ে। কিন্তু লাভ হয়নি। তার দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ মেলেনি। পরে তিনি মামলা করেন আদালতে।
সরেজমিন রুপসা গিয়ে জানা যায়, ওইদিন এখানে কোন হাঙ্গামা বা শোরগোল হয়নি। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক বলেন, আমি সারাদিন বাড়ীতে ছিলাম। কোন শোরগোল শুনিনি। জামাল আহমেদ জানায়,মুক্তিযোদ্ধা খালেক ভালো মানুষ। সে শিক্ষক ছিলো। তার ১ ছেলে ও ১ মেয়ে শিক্ষক। তারা সবাই সমাজের ভালো মানুষ। তারা কাউকে খুন করতে পারে না। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আকামত আলী জানান, প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেককে বাড়ি ভিটা ছাড়া করার জন্য একটি মহল বারবার মিথ্যা মামলা দিয়ে নাজেহাল করছে। স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর সময়ের মুক্তিযোদ্ধারা নাজেহাল হয় এর চেয়ে দু:খের আর কি হতে পারে।