রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীতে আবার ভাঙন দেখা দিয়েছে। পদ্মা নদীতে পানি কমতে থাকার পাশাপাশি তীব্র স্রোতের ফলে নদীভাঙনের কবলে পড়েছে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। এতে হুমকিতে পড়েছে হাজার হাজার একর ফসলি জমি, কয়েকশ জনবসতি ও স্থাপনা। পাউবো কর্তৃপক্ষ ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলছে।
এক সপ্তাহ ধরে পদ্মায় পানি কমতে থাকায় নদীতে তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। এতে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের চারটি গ্রাম মহাদেবপুর কালীতলা, চরসিলিমপুর, বড়চর বেণীনগর, রামচন্দ্রপুর গ্রামের ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়েছে ফসলি জমি। হুমকিতে রয়েছে এসব এলাকার কয়েকশ জনবসতি। বড়চর বেণীনগর এলাকার সিসি ব্লকে বাঁধানো ৬০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন অব্যাহত থাকায় চরম আতঙ্কে দিন কাটছে এসব এলাকার মানুষের। বারবার ভাঙনের কবলে পড়ে শত শত বিঘা জমি, বাড়ি-ঘর হারিয়ে এখন দিশাহারা তারা। নানা ধরনের সবজি ও ডালের ক্ষেত, গাছপালা নদীতে চলে যাওয়ায় চরম সংকটে পড়েছেন কৃষকরা। মিজানপুর ইউনিয়নের বড়চর বেণীনগর গ্রামের বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম জানান, এ বছর ২০ হাজার টাকা দিয়ে এক বিঘা পরিমাণ একটি জমি নিয়ে পটল চাষ করেছেন। কিন্তু ভাঙনে তার পটলক্ষেত এখন নদীতে বিলীন হচ্ছে। প্রতিবছরই ভাঙনের কবলে পড়ে তাদের জমিজমা ভিটেমাটি। এখন তাদের অবশিষ্ট আর কিছুই নেই। তার মতো অত্র এলাকার রহিম মিয়া, সেলিম, জয়নাল শেখসহ আরো অনেকে তাদের জমিজমা হারিয়ে দিশাহারা। তারা অন্যের জমিতে বসবাস করছেন। ভাঙন ঠেকাতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানায় এ অঞ্চলের জনসাধারণ।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অংকুর বলেন, নদীতে পানি কমে যাওয়া ও উজান থেকে নেমে আসা পানির স্রোতের তীব্রতায় কিছু কিছু স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ ভাঙন ঠেকাতে বালুভর্তি জিও ব্যাগের বস্তা ফেলা হচ্ছে।