রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের কুশাহাটা গ্রামে পদ্মা নদীতে ডুবে আলিফ নামের পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে শিশুটির বাবা আল-আমীনের দাবি তাকে হত্যা করে পানিতে ফেলে রাখা হয়েছিল।
শনিবার ভোর সারে পাঁচ টার দিকে নদীতে জেলেরা বড়শিতে মাছ ধরতে নেমে লাশ দেখতে পায়। তখন খবর পেয়ে মেয়ের ভাইসহ গ্রামের অন্যান্যরা লাশ গোয়ালন্দ হাসপাতালে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে।
শিশুটির খালা রূপবান বলেন, আমার বোন ডালিমের সাথে একই ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ফেলু মোল্ল্যার গ্রামের আলামিনের সাথে আট বছর আগে বিয়ে হয়। গত তিন বছর ধরে তাকে বাপের বাড়ি ফেলে রেখেছে। কোন ভরণ-পোষন দেয়না। শুক্রবার পাঁচটা থেকে আলিফকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজা হয়। এমনকি নদীতে জাল ফেলে খোঁজ করা হয়। ভোরে জেলেরা পেলে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে খুঁজে হাসপাতালে আনা হয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
আলিফের পিতা আল- আমীন বলেন, আমার ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে। ডালিমের সাথে একজনের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। ছেলে পথের কাঁটা হওয়ায় তাকে হত্যা করে পানিতে ফেলে রাখা হয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার তদন্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, আপাতত একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে। শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী পাঠানো হচ্ছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।