ছুটি শেষ। কর্মমুখি হচ্ছে কর্মজীবিরা। এতে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে গত কয়েক দিন যাবৎ রাজধানী মুখি কর্মজীবিদের উপচে পরা ভীর দেখা যায়। তবে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে পন্যবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী পরিবহনের অতিরিক্ত চাপ না থাকায় দুর্ভোগ মুক্ত হয়ে লঞ্চ ফেরি পার হয়ে গন্তব্যস্থানে যাচ্ছে কর্মজীবিরা। কিন্ত প্রচন্ড গরমে কর্মমুখি যাত্রীদের দুর্ভোগ হচ্ছে।
দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরি ঘাট এলাকা সরেজমিন ঘুরে এমনি চিত্র দেখা যায় এবং ঘাট সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দৌলতদিয়া লঞ্চ এবং ফেরি ঘাটে যাত্রীদের উপচে পরা ভির রয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে বাধ্য হয়ে অনেক ফেরি যানবাহন না নিয়ে শুধু যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে।
এসময় রাজবাড়ী থেকে ঢাকাগামী জহিরুল ইসলাম বলেন, দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট পর্যন্ত কোন দুর্ভোগ হয়নি। তবে ভাড়া দ্বিগুন দিতে হয়েছে। আবার প্রচন্ড গরম থাকার কারণে অসহ্য কষ্ট হচ্ছে। তিনি আরোও জানান, দৌলতদিয়া ঘাট প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে সারাবছর দুর্ভোগ ছিল। পদ্মা সেতু শুরু হওয়ার পর সেই চিত্র পরিবর্তন হয়েছে। দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে দুর্ভোগ নেই। তবে ঈদের কারণে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে।
ফরিদপুর থেকে ঢাকাগামী শান্তা নুর নামের এক নারী যাত্রী বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে সেই আগের মত দুর্ভোগ নেই। যে কারণে সহজে পারবো ভেবে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে যাচ্ছি। তবে গরমে বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্ট হচ্ছে।
সাতক্ষীরা থেকে ঢাকাগামী সোহেল নামের এক যাত্রী বলেন, গত ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থানে যাওয়ার জন্য দৌলতদিয়া ঘাটে ৯ঘণ্টা অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্ত এই ঈদের দুর্ভোগের চিত্র চোখে পরেনি। আজও ঢাকায় যাওয়ার পথে কোন সমস্যা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ অভ্যঅন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা বন্দরের পোর্ট অফিসার সাজ্জাদ রহমান জানান, দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে ঢাকামুখি যাত্রীদের চাপ রয়েছে। কিন্ত যাত্রীদের নদী পারাপার করতে কোন সমস্যা হচ্ছে না। এই নৌরুটে বর্তমান ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে।
বাংলাদেশ অভ্যঅন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)আরিচা বন্দরের উপপরিচালক শাহ খালেদ নেওয়াজ জানান, ঈদের আগে পরে ফেরি ঘাটে অতিরিক্ত চাপ হয়। তবে এবার পদ্মা সেতু শুরু হওয়ার পর থেকে দক্ষিন-পশ্চিঞ্চলের মানুষের কোন দুর্ভোগ হয়নি।