রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের অভিযোগ ছাত্রলীগের ২ নেতার বিরুদ্ধে

গোয়ালন্দ প্রতিনিধি ॥
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০২২
  • ১৬৭ Time View

রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রাতুল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আকাশ কুমার সাহার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবির হোসেন রিদয় এ ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা করেছেন।

মামলায় বিবাদী করা হয়েছে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রাতুল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আকাশ কুমার সাহা, সরো মন্ডল, মৃদুল, রবিন, রুমন ও কাব্য সহ অজ্ঞাতনামা ১২/১৩ জনকে।

মামলার বাদী আবির হোসেন রিদয়ের বক্তব্য এবং মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ০৯ জুলাই গোয়ালন্দ পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক আকাশ কুমার সাহার নেতেত্বে একটি গ্রুপ রাত ৯টার দিকে আমার অফিসে এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গাল-মন্দ করেন। প্রতিবাদ করতে তারা আমার অফিস ভাংচুর করেন এবং অফিসের দেয়ালে পাশাপাশি অবস্থানে টানিয়ে রাখা বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার ছবিতে কলমদানি ছুড়ে মারেন। এসময় শেখ হাসিনার ছবিতে আঘাত লেগে ভেঙ্গে যায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে গোয়ালন্দ পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রাতুল আহমেদ বলেন, আমি ও সাধারণ সাম্পাদক তার অফিসে গিয়েছিলাম। তখন ঈদের ফেস্টুন টানানো নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবির হোসেন রিদয় এর সাথে বাক-বিতক্তা হয়। কিন্ত একদিন পরে দেখা যায় আমাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিার ছবি ভাংচুরের অভিযোগে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় আমরা কোর্ট থেকে জামিন নিয়েছি।

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার জানান, আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. তুহিন দেওয়ান বলেন, রাতুলের ফেস্টুন সরিয়ে হৃদয়ের ফেস্টুন লাগানোকে কেন্দ্র করে ঘটনা ঘটে। তবে রাতুল এ বিষয়টি আমাকে অবহিত করলেই সমাধান সম্ভব ছিল। তা না করে রাতুলের ছেলেদের নিয়ে হৃদয়ের ওখানে ওইভাবে যাওয়া ঠিক হয়নি। বিষয়টি উপজেলা আওয়ামী লীগ সুরাহার দায়িত্ব নিয়েছেন। এ ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং এতে ছাত্রলীগের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মোস্তফা মুন্সি বলেন, ছাত্রলীগের মধ্যে ভূল বোঝাবুঝি থেকে উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে এটা সাময়িক সমস্যা বলে মনে করি। তারা সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। এ বিষয়ে আমরা সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের নিয়ে বসেছিলাম। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্টের আলোকে পরবর্তীতে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022 daily Amader Rajbari
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com