মনির হোসেন (২৫)। বাবা পল্লী চিকিৎসক শহিদুল ইসলাম। এসএসসি পাস না করলেও বাবার ব্যবসার সুবাদে হয়ে যায় পল্লী চিকিৎসক। বাবা শহিদুল ইসলাম দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর প্রধান প্রবেশ পথে দোকান করেন। দোকানটির ১শ গজ সামনে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের অস্থায়ী একটি কণ্ট্রোল রুম রয়েছে। যে রুমে সার্বক্ষনিক একজন কনেষ্টবল অবস্থান করেন। মনির হোসেন বাবার সাথেই দোকান করেন যৌনপল্লীর গেটে। বাবার সাথে দোকান করার সুবাদে বিভিন্ন প্রকার মাদক ব্যবসায় আগমন ঘটে। বছর না ঘুরতেই হয়ে যায় ইয়াবা সম্রাট। দৌলতদিয়া ঘাট সহ আশ-পাশ এলাকায় বড়বড় চালান বহন করে মনির হোসেন। এরই মধ্যে একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলে থেকেছেন। জামিনে বের হয়ে পুনরায় ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করেন।
রবিবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টায় রাজবাড়ী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) একটি অভিযানে ৭হাজার ২৫পিচ ইয়াবা এবং নজরুল মোল্লা নামের একজন সহযোগিকে নিয়ে আটক হয় মনির হোসেন। আটকের ব্যাপারে নিশ্চিত করে সোমবার (৪ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার সংবাদ সম্মেলন করেন রাজবাড়ী পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান। সংবাদ সম্মেলনের তথ্য সূত্রে জানা যায়, জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া সোরহাব মন্ডল পাড়ার সালাম মন্ডলের বাড়ীতে রাত সোয়া ৩টায় অভিযান চালিয়ে ৭হাজার ইয়াবা সহ মনির হোসেন (২৫) এবং নজরুল ইসলাম (২২) কে আটক করেন রাজবাড়ী ডিবি পুলিশ।
ইয়াবা নিয়ে পুলিশের হাতে আটককৃত মনির হোসেন ও নজরুল মোল্লার ব্যাপারে দৌলতদিয়া এলাকার একাধিক স্থানীয়রা বলেন, মনির এর আগেও একাধিকবার ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। জামিনে বের হয়ে এসে পুনরায় শুরু করেন ইয়াবা ব্যবসা। তারা আরো বলেন, পল্লী চিকিৎসক ব্যবসার আড়ালে কিভাবে ইয়াবা ব্যবসা করেন। এদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। কারণ এদের মত মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে উঠতি বয়সী অনেকে মাদকে আসক্ত হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৌলতদিয়া রেল ষ্টেশন এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, দৌলতদিয়া ঘাটে চতুর পাশে বিভিন্ন প্রকার মাদকের আখড়া গড়ে উঠেছে। মাদক ব্যবসায়ীরা ঘাট রেখে নিরাপদ ভেবে গ্রামে গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে। মাদক ব্যবসায় পরিবারের ছোট ছোট সদস্যদেরও ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, এদের এখনি থামানো প্রয়োজন। না হলে নতুন প্রজম্ম ধবংস হয়ে যাবে।
দৌলতদিয়া পল্লী চিকিৎসকদের নিজস্ব সংগঠন এর সভাপতি মো. সামসুল হক জানান, পল্লী চিকিৎসক ব্যবসার আড়ালে যারা মাদক ব্যবসা করে তাদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়ার প্রয়োজন। এদের কারণে পল্লী চিকিৎসকদের সুনামের সাথে কাজ করতে বাধাগ্রস্ত হবে। সুতরাং এদের বিচারের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি দাবি করি।