দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহার করে দক্ষিণ-পশ্চিঞ্চলের ২১ জেলা থেকে গবাদী পশুবাহী ট্রাক রাজধানী সহ বিভিন্ন জেলায় যেতে শুরু করেছে। তবে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে যানবাহনের চাপ না থাকায় গবাদি পশুবাহী এসকল ট্রাকগুলা সহজে দুর্ভোগ মুক্ত থেকে ফেরি পার হয়ে গন্তব্য স্থানে যেতে পারছে। পড়তে হচ্ছে না দালালের কবলে।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকা সরেজমিন ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দক্ষিণ-পশ্চিঞ্চলের ২১ জেলা থেকে ছেড়ে আসা গবাদী পশুবাহী ট্রাকগুলো ফেরি পার হচ্ছে। এসকল গবাদী পশুবাহী ট্রাকগুলো দৌলতদিয়া ঘাটে এসে চালক অথবা চালকের সহকারী বিআইডব্লিউটিসির নির্ধারিত ফেরি’র টিকিট কাউন্টারে গিয়ে টিকিট সংগ্রহ করছে। টিকিট কাউন্টারে গিয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। কাউন্টার গুলো দালাল মুক্ত দেখা যায়।
বিআইডব্লিটিসি আরিচা বন্দরের উপপরিচালক শাহ্ খালেদ নেওয়াজ জানান, পদ্মা সেতু দিয়ে সহজে যানবাহন চলাচলের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চাপ কমেছে। তবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যানবাহন আসছে। এই যানবাহনের সাথে ঈদুল আযহা উপলক্ষে গবাদী পশুবাহী ট্রাকগুলো আসতে শুরু করেছে। কিন্ত এই নৌরুটে ছোট বড় ২৩টি ফেরি থাকার কারণে উভয় ঘাট থাকছে যানজট মুক্ত। ফেরি ঘাটগুলো যানজট মুক্ত থাকার কারণে চালকগণ ফেরি ঘাটে এসে সহজে গৌন্তব্য স্থানে যেতে পারছে না।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট অফিস সূত্রে জানা যায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট ব্যবহার করে বর্তমান সাড়ে ৫হাজার বিভিন্ন যানবাহন নদী পার করা সম্ভব। সেই হিসেবে উভয় পার মিলে প্রতিদিন ১১হাজার বিভিন্ন প্রকার যানবাহন ফেরি পারাপার করা সম্ভব। তবে পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার হওয়ার কারণে এই নৌরুটের উভয়র পার মিলে সাড়ে ৫হাজার যানবাহন ফেরি পারাপারা হচ্ছে। এতে ঘাটে কোন যানজট হচ্ছে না। ফেরি গুলোও রেস্ট পাচ্ছে।
কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী গবাদী পশুবাহী ট্রাক চালক রানা জানান, পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচলের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে সেই যানজট নেই। ঘাটে এখন আর বসে থাকা লাগে না। অতিরিক্ত টাকাও লাগে না। তিনি আরো বলেন, সকালে কুষ্টিয়া থেকে এসেছি। এখন ৯টা বাজে। ঢাকা থেকে ফিরে আবার বাড়ী যেতে পারবো।
এসময় গরু ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন জানান, প্রতিবছর যানজটের কারণে গরু নিয়ে গরমের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকা থাকতে হয়েছে। প্রচন্ড গরমে অনেক গরু মারা গেছে। এবার যানজট নেই, দুর্ভোগও নেই। ঘাটে এসেই ফেরিতে উঠতে পারছি। গরুগুলোর কোন কষ্ট হচ্ছে না। এই ভাবে থাকলে আমাদের মত সাধারণ ব্যবসায়ী আর্থিক ভাবে লাভবান হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ফেরি মাস্টার বলেন, ২৪ ঘণ্টা ফেরি চালানো লাগতো। ফেরি গুলো একটু রেস্ট পায়নি। যে কারণে অনেক সময় ফেরিগুলো বিকল হয়ে পড়ে থাকছে। এখন উভয় ঘাটে যানবাহনের চাপ কম থাকায় ফেরিগুলো রেস্ট নিয়ে চালানো সম্ভব হচ্ছে। এতে ফেরিগুলো অনেক স্থায়ী হবে। বিকল কম হবে।