রাজবাড়ীর পাংশায় এক যুবককে চোখ-মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে গিয়ে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। বর্তমানে সে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। বুধবার বিকালে উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের তেলিগাঁতি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। আহত যুবকের নাম মুকুল মন্ডল। সে উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের জীবন নালা গ্রামের বিশু মন্ডলের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুজন মিয়া বলেন, তিনি মুকুলের সাথেই ছিলাম। পথে মোটরসাইকেলের তেল ফুরিয়ে গেলে তেল আনতে যান। তখন মুকুল চরহরিণাডাঙ্গা স্কুল মাঠে ছিলো। সে সময় ৪টি মোটরসাইকেলে ৮-১০ জনের একদল দুবৃর্ত্ত এসে চোখমুখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। পরে তেলিগাঁতি স্কুল মাঠে নিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে ফেলে রাখে।
মুকুল মন্ডলের কাকা নায়েব আলী বলেন, আমরা জানতে পারি মকুলকে তুলে নিয়ে গিয়ে তেলিগাঁতি স্কুলের পাশে রেখেছে। ওখানে দুইজন মানুষ আছে তাদের আমরা চিনি না। তাদের বললাম মকুলকে নিয়ে যাই না হলে মরে যাবে। তারা বললো যারা ধরে নিয়ে আসছে তাদের অনুমতি ছাড়া দেওয়া যাবে না। তখন ওই দুইজনকে বললাম তাদের ডাকো। তারা ফোন নাম্বার দিলো কল দিলে তারা বললো আসতেছি। এরপর পুলিশ গিয়ে মকুলকে উদ্ধার করে।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কুতুব আহমেদ জানান,আহত যে রোগীকে নিয়ে আসা হয়েছিল তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও বাম হাতের নখ তুলে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১২ টায় এসআই শ্রীবাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করেছে। বর্তমানে সে পাংশা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা পূর্ব শত্রতার জেরে এঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।