রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবিএম বাতেনের (৪০) বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি নাজিরুল ইসলাম দুলুর (৯০) বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও তাকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয় গেছে। প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা এ ব্যাপারে শুক্রবার দুপুরে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত এবিএম বাতেন গোয়ালন্দ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের নিলু শেখের পাড়ার বাসিন্দা মো. কোরবান মন্ডলের ছেলে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বাতেন বলছেন, তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই বাড়ির সিসি ক্যামেরা যাচাই করলে প্রকৃত সত্য বেড়িয়ে আসবে।
নাজিরুল ইসলাম দুলু জানান, তার ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের অপর সাবেক সভাপতি নাজিমুল ইসলাম বৃটেন গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাদের নিজেদের জমিতে একটি রেস্টুরেন্ট তৈরীর জন্য ভবন নির্মানের কাজ করছে। তার পাশেই বাতেনের জমি রয়েছে। ওই জমি নিয়ে বাতেনের সাথে তাদের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এর জের ধরে বাতেন শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে আমাদের বাড়িতে এসে বৃটেনকে খুঁজতে থাকে। কিন্তু বৃটেন তখন বাড়িতে ছিল না। এক পর্যায়ে আমি ঘর থেকে বেড়িয়ে আসলে সে আমার সাথে তর্কাতর্কি করে। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে বাতেন তার হাতে থাকা বাটাম দিয়ে বাড়ির বারান্দায় থাকা আসবাবপত্র ও চেয়ার-টেবিল, ফুলের টব ভাঙচুর করে। আমি ভয়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেই। এ সময় আমার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে আসামী বাতেন আমাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি এবিএম বাতেন দাবি করেন, বৃটেন আমার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও বন্ধু। ওর বাবা আমাদের প্রবীণ নেতা। তাকে আমি ভীষণ শ্রদ্ধা করি। বৃটেন রেষ্টুরেন্টের জন্য ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে আমার জায়গা অনেকটা দখল করে ফেলেছে এবং আমার জায়গার উপর থাকা আমার অফিস ঘরের চালার উপর দিয়ে লম্বা লম্বা রড় বের করে রেখেছে। বিষয়টি বৃটেনকে বললে তর্ক-বিতর্ক হতে পারে ভেবে মুরুব্বি হিসেবে ওর বাবা-,মা’কে জানাতে আমি ওদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তাদের সাথে অল্প সময়ের মধ্যে কথা বলে আমি সেখান থেকে চুপচাপ চলে আসি। পথে এলাকার অনেকের সাথে দেখা এবং কথাও হয়। পরে জানতে পারলাম বৃটেনের বাবা আমার বিরুদ্ধে থানায় গিয়ে হামলা, ভাঙচুর ও হুমকি ধামকি দেয়ার একটা অভিযোগ দিয়েছে । এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো নাটক ও অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। ওদের বাড়িতে থাকা সিসি ক্যামেরা যাচাই করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা যাচাইবাছাই করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।