রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ এর প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় উফশী জাতের বোরো ধান রাইস ট্রান্সপ্লান্টার এর সাহায্যে চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে দক্ষিণ চর পাঁচুরিয়া দেবগ্রামে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রাসারণের উপ-পরিচালক ডাঃ মো. শহিদুল ইসলাম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. গোলাম রসুল, জেলা বীজ প্রত্যয়ণ কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামানসহ স্থানীয় কৃষক, কৃষাণীরা।
গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামান বলেন, সমলয় চাষাবাদ পদ্ধতিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে ধান রোপণ করলে প্রতি ঘণ্টায় একজন শ্রমিকের মাধ্যমে এক বিঘা জমি চাষ করা যায়। এ ভাবে প্রতিদিন ৮ ঘণ্টায় ৮ বিঘা জমি চাষ করলে খরচ ও অর্থে অপচয় কমে যাবে। সনাতন পদ্ধতিতে ৮ বিঘা জমিতে ৩৫ জন শ্রমিক লাগলে খরচ তিনগুণ বেশি হবে। এতে করে সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষে সময়, শ্রম ও খরচ কম লাগবে এবং উৎপাদনও বেশি হবে। এতে কৃষকেরা লাভবান হবেন।
জেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, সমলয় চাষাবাদে জমিতে উন্নত বোরো ধানের চারা, সিড সোয়িং যন্ত্রের মাধ্যমে ট্রেতে তৈরি করে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের দ্বারা রোপণ করা হয়। পরবর্তীতে একই সাথে জমি তৈরি, একই বয়সি চারা রোপণ, সমপরিমাণ গভীরতা, সমান দূরত্বে, সার প্রয়োগ, কীটনাশক স্প্রে ও অন্যান্য কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়। এতে উৎপাদন খরচ কম হয়, কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি পায় এবং ধানের উৎপাদনও বাড়ে। এই পদ্ধতিতে এক বিঘা জমিতে মাত্র আধা ঘণ্টায় চারা রোপণ করা হয়। দেশে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে কৃষি হুমকির মধ্যে রয়েছে। এরূপ হুমকি মোকাবেলা করে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনই আমাদের লক্ষ্য।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাহিদুর রহমান বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়ানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। তিনি আরও বলেন, সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদের ফলে একদিকে কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টির পাশাপাশি শ্রমিক সংকট লাঘব হচ্ছে। ফলে লাভবান হচ্ছে কৃষকেরা।