শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে রাজবাড়ীতে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ৩১ তরুণ-তরুণী চাকরি পেয়েছেন। এই চাকরি পেতে অনলাইন আবেদনসহ জনপ্রতি খরচ মাত্র ১২০ টাকা। রোববার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে রাজবাড়ী পুলিশ লাইনে নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন জেলা পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন। মেধার ভিত্তিতে ২৩ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন জেলা পুলিশ সুপার।
সুপারিশ এবং ঘুষ ছাড়া পুলিশের গর্বিত সদস্য হতে পেরে খুশিতে আত্মহারা হত দারিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারে এসব তরুণ-তরুণী। নিজ যোগ্যতায় ও মেধায় চাকরির ফলাফল পাওয়ায় তারা আনন্দে বিমোহিত হন। নাম ঘোষণার পরপরই অনেকের দুই নয়ন অশ্রুতে ভিজে যায়। অনেকেই আনন্দ উল্লাস করেন।
চাকরি পাওয়া কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, জীবনে প্রথমবার চাকরির আবেদন করে আজ নিজেদের মেধা ও যোগ্যতায় চাকরি পাওয়ায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই জেলা পুলিশ সুপারকে।
কয়েকজন অভিভাবক বলেন, ছেলে-মেয়েদের নিয়ে খুবই চিন্তায় ছিলাম। মানুষের কাছে শুনেছি সরকারি চাকরি নিতে গেলে টাকা লাগে, লোক লাগে। কিন্তু এখন দেখি সব ধারণা ভুল। মাত্র ১২০ টাকা দিয়ে যে পুলিশে চাকরি হবে কখনও চিন্তাও করিনি। এতো সুন্দর ও স্বচ্ছভাবে পুলিশে চাকরি পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানাই।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোছা: শামিমা পারভীন বলেন, নিজের যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন ৩১ জন তরুণ-তরুণী। যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা সবাই নিজেদের যোগ্যতায় ও মেধায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আশা করছি যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ পুলিশের নতুন সদস্য হলেন তারা সবাই দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবেন। তাদের জন্য রইলো অনেক শুভকামনা।