অপহরণ হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির মামলায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযেুাদ্ধা আবুল কালাম আজাদ যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত শুক্রবার রাত ১টার দিকে কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকায় তার মেয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের চর দক্ষিণবাড়ী গ্রামে। তিনি বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
জানা যায়, গত ২৫ আগস্ট জিয়া স্মৃতি পাঠাগার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক তুহিনুর রহমান রাজবাড়ীর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম, তার ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিম ও আবুল কালাম আজাদসহ ১৩ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। পরে মামলাটি আদালতের বিচারক মৌসুমি সাহা আমলে নিয়ে বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি তুহিনুরকে আসামিরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি মাইক্রোবাসে অপহরণ করে। পরে নায়েব আলীর বাড়ির একটি নির্জন কক্ষে নিয়ে বালিয়াকান্দি থানার সাবেক ওসি আবু সামা মো. ইকবাল হায়াতসহ অন্যদের সহায়তায় তুহিনের পা উল্টা করে ঝুলিয়ে নির্যাতন চালিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তুহিন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মেরে হাড় ভেঙে ও শক দেওয়া হয়। পরে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিলে তাকে পেন্ডিং মামলায় চালান দেওয়া হয়। ওই সময় তিনি মামলা করতে চাইলে তাকে ক্রস ফায়ারের হুমকি দিয়ে দমিয়ে রাখা হয়। ক্রসফায়ারের ভয়ে তিনি এতোদিন পরিবার নিয়ে রাজবাড়ী জেলার বাইরে বসবাস করছিলেন। দেশের পরিবেশ ভালো হওয়ায় তিনি এ মামলাটি দায়ের করেন।
বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জামাল উদ্দিন বলেন, তুহিনুর রহমানের দায়ের করা মামলায় ৭ নম্বর আসামি আবুল কালাম আজাদ। শুক্রবার রাত ১টার দিকে কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।