রবিবার মধ্যরাত হতে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিনের জন্য মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান শুরু হচ্ছে। এ সময়ের জন্য নদীতে ইলিশ সহ সকল ধরনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে শনিবার বিকেলে পদ্মা নদীর তীরে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মা ইলিশ রক্ষায় মৌসুমি জেলেরা সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক বলে জানান সাধারণ জেলেরা। জেলেরা বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাদের উপজেলার নিবন্ধিত জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করে না। এ আইন অমান্য করে মৌসুমি জেলেরা। তাদের বেশিরভাগই গোয়ালন্দ ছাড়াও আশপাশ এলাকার জেলে। ইলিশ সম্পদ সম্পর্কিত উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র।
বক্তব্য রাখেন গোয়ালন্দ উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তফা আল রাজীব, রাজবাড়ী সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল, দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সগীর মিয়া, দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়ন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. ইছাক সরদার, সাধারণ সম্পাদক অসলাম মোল্লা প্রমূখ।
সভায় ইউএনও জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র জানান, ইলিশ আমাদের জাতীয় জাতীয় সম্পদ। এই সম্পদকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে জেলেদের সহযোগিতায় সরকার চাউল দিয়েছে। এ জন্য মা ইলিশ সংরক্ষনের টাস্কফোর্স টিম মাঠে সক্রিয় থাকবে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সর্বনিম্ন সাজা ১ বছর জেল ও জরিমানা করা হবে। এ ক্ষেত্রে কেউ সুপারিশ করতে এলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সাধারণ জেলেসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।