বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা হাডুডু। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলার মধ্যে একটি খেলা হলো হাডুডু খেলা। এই খেলাটি প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে। এখন এই খেলাটি খুবই কম দেখা যায় এক কথা বলতে গেলে এই খেলাটি এখন বিলুপ্তির পথে। দীর্ঘ প্রায় ৩৬ বছর পর রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই জনপ্রিয় খেলা। দীর্ঘদিন পরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা দেখতে স্থানীয়দের উপচেপড়া ভিড় বাড়ে।
বয়স ৬০ পেরিয়ে গেছে তারপরও থেমে নেই রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার হাডুডু খেলোয়াড়রা। এই বয়সেও তারা মেতে উঠেছেন হাডুডু উৎসবে। প্রীতি সেই হাডুডু খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে শুক্রবার বিকেলে। রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ৩ নং ফেরী ঘাটের শাহাদৎ মেম্বার পাড়া এই গ্রামে। সেই খেলার আয়োজন করে স্থানীয় যুব সমাজ। বয়স্ক মানুষের এই খেলা দেখতে ভীড় করে আশে পাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের নারী পুরুষ সহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ। আয়োজকরা জানান, স্থানীয় মোট ১৪ জন খেলোয়াড় নিয়ে দুটি দল গঠন করা হয়। প্রতি দলের খেলোয়ার সংখ্যা ৭ জন। তীব্র প্রতিদ্বন্দিতা পূর্ণ এই প্রতিযোগীতায় মোহাম্মদ আলীর দল বিজয়ী হয়। একসময় জেলার দৌলতদিয়া অঞ্চলে এই খেলাটি প্রতিনিয়ত দেখা গেলেও কালের বিবর্তনে এখন আর দেখা যায় না। তাই দীর্ঘ ৩৬ বছর পর এই ঐতিহ্যবাহী খেলাটি পুনরায় শুরু হওয়ায় আয়োজকদের কাছে প্রতি বছরই খেলাটি তরণ প্রজম্মের মাধ্যমে ধরে রাখার দাবি করেছেন এলাকাবাসী। আর দীর্ঘদিন পরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হাডুডু খেলা দেখতে স্থানীয়দের উপচেপড়া ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন এলাকার নানা বয়সী মানুষ এই খেলা উপভোগ করেছেন। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে হাসান পত্তনদরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দৌলতদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোহন মন্ডল। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহমেদ, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সরোয়ার হোসেন প্রমুখ।