গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়ন এর বাঘাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর জন্য জমি দান করেছেন গোয়ালন্দ উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সী।
জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধকালীন পরবর্তী ১৯৭২ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। গোয়ালন্দ উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন প্রতিবছর নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়। এর অন্যতম একটি নদী ভাঙ্গন এলাকা দেবগ্রাম ইউনিয়ন। দেবগ্রাম ইউপি এলাকায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই নদীগর্ভে তিনবার চলে গেছে। তিন তিনবার নদীগর্ভে বিদ্যালয়টি যাওয়ার কারণে বিদ্যালয় এর নির্দিষ্ট কোনো জমি ছিল না। বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে দেবগ্রামের নদী কবলিতদের বরাদ্দকৃত আশ্রয় কেন্দ্রের জায়গায় একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করে বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য বার বার ভবনের কাজ এসে ফিরে যাচ্ছিল জায়গার অভাবে। বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের বরাদ্দকৃত টাকা যায়গার অভাবে ফিরে যাওয়ার কথা শুনে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের কথা চিন্তা করে গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তফা মুন্সি ৩৩ শতাংশ জমি বাঘাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে দান করেছেন।
এবিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কবির হোসেন জানান, জমির অভাবে বাঘাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজ হচ্ছিল না। এ সময় বিদ্যালয়ের জন্য ৩৩ শতাংশ জমি দান করলেন উপজেলা পরিষদের মানবিক চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সি। আমরা এতে অনেক আনন্দিত। এমন নজির দেশে এখন বিরল।
বাঘাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষার কথা চিন্তা করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ৩৩ শতাংশ জমি দেওয়োয় আমরা অনেক আনন্দিত।
গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সি বলেন, আমার উপজেলায় শিক্ষার্থীরা জায়গার অভাবে পাঠদান করতে পারবে না এটা আমার জন্য কষ্টদায়ক। শিশুরা উন্নত বিদ্যালয়ে পড়বে এটাই আমার কামনা।