শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ অপরাহ্ন

দুর্গম চরবাসীর সাথে ইউএনও’র কুশল বিনিময় ॥ ঊচ্ছ্বসিত শিশুরা

গোয়ালন্দ প্রতিনিধি ॥
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪
  • ৭৯ Time View

প্রথমবারের মতো কোন ইউএনওকে কাছে পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত গোয়ালন্দ উপজেলার দুর্গম চরের শিশুরা। তারা ইউএনও’র কাছে একটা ফুটবলের বায়না করে। ইউএনও সানন্দে তাদের বায়না পূরণ করে বলেন, তোমরা মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করো, ভালো থেক।

শনিবার দুপুরে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উত্তাল বিশাল পদ্মা নদী পার হয়ে দেবগ্রাম ইউনিয়নের দূর্গম চর বেতকা-রাখালগাছি এলাকার জনজীবন সচক্ষে দেখতে যান গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। এ সময় তিনি চরবাসীর সাথে কুশল বিনিময় করে তাদের নানাবিধ সমস্যা, সম্ভাবনার কথা শুনে তার প্রতিকারের আশ্বাস দেন। চরের মানুষও ইউএনওকে কাছে পেয়ে তাদের নানা অভাব-অভিযোগ ও দাবির কথা জানান।

শিশুদের সাথে সাক্ষাতের বিষয়ে তিনি বলেন, আসলে ওরা কি বলতে কি বলবে বুঝে উঠতে পারছিল না। তাই ফুটবলের আবেদনের কথা বলতে গিয়ে ‘আপত্তি’ শব্দটা বলে ফেলে। তবে আমার বুঝতে কোন সমস্যা হয়নি। আমি দু-একদিনের মধ্যেই ওদের জন্য ফুটবল পাঠিয়ে দেব। ওদের মধ্যে অনেক সম্ভাবনা আছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পেলে ওরাও দেশের সম্পদ হয়ে গড়ে উঠতে পারবে। আমি এখানকার শিশুসহ পুরো চরবাসীর জন্য যথাসাধ্য সবকিছুই করার চেষ্টা করব।

এ সময় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শফিকুল ইসলাম, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার রুহুল আমিন, দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. হাফিজুল ইসলাম, গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শামীম শেখ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাফিজুল ইসলাম বলেন, পদ্মা নদীর দূর্গম চর বেতকা-রাখালগাছি এলাকা মিলে ইউনিয়নের একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড রয়েছে। জনসংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। এর মধ্যে কয়েকশ শিশু রয়েছে। ওদের জন্য এখানে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়া আর কোন প্রতিষ্ঠান নেই। এদের মধ্যে অধিকাংশই ৫ম শ্রেণির পর আর পড়ালেখার সুযোগ না পেয়ে ঝরে পড়ে। ছেলেরা বাবার সাথে মাঠে-ঘাটে কৃষি কাজে অথবা নদীতে মাছ ধরতে, নৌকা চালাতে লেগে যায়। মেয়েদের বিয়ে হয়ে যায়। এখানে একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, নিরাপত্তার জন্য একটি পুলিশ ক্যাম্প, শিশুর জন্য খেলার মাঠ নির্মান খুব দরকার। এছাড়া চরের বিপুল পরিমান জমির খাজনা বন্ধ থাকা এবং তা পুনরায় আদায় আবার চালু হওয়া দরকার। এটা না হওয়ায় চরের মানুষ নানা ধরনের ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। অনেক ধরনের নাগরিক সুযোগ- সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। আমি এ সকল বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2022 daily Amader Rajbari
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com