রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের দূর্গম চর বেতকা গুচ্ছগ্রামের ১০ টি ঘর গভীর খালে ধ্বসে গেছে। গুচ্ছগ্রামের পাশে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় সেখানে বিশাল খালের সৃষ্টি হয়েছে। খালে গুচ্ছগ্রামের আরো বেশ কয়েকটি ঘর ও কেন্দ্রের একমাত্র ক্লাব ঘরটি ধ্বসে যাওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
শনিবার দুপুরে বিশাল পদ্মা নদীর ওপার দূর্গম ওই চর এলাকা পরিদর্শন করেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। এ সময় তিনি ধ্বসে যাওয়া স্থানে গাইড ওয়াল নির্মাণ সহ ক্ষতিগ্রস্তদের গৃহের ব্যবস্থা করা এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।
ক্ষতিগ্রস্তদের কয়েকজন দৈনিক আমাদের রাজবাড়ীকে জানান, এলাকায় একটি সরকারি রাস্তা নির্মাণের জন্য আশ্রয় কেন্দ্রের পাশ থেকে ড্রেজিং করে বালু তোলা শুরু করে কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি। এর মধ্যে রয়েছে পাবনার ঢালারচর এলাকার ড্রেজিং মালিক মতিন, জালাল, খাজা মন্ডল, হাবি শেখ, আক্কাস, কেরামত প্রমূখ। রাস্তার কাজ শেষ হয়ে গেলেও তারা দীর্ঘদিন ধরে আশপাশের বিভিন্ন বসতবাড়িতে বালু সরবরাহ করতে থাকে। এভাবে এখানে গভীর বিশালাকার খালের সৃষ্টি হয়েছে। বালু উত্তোলনের সময় তাদেরকে নিষেধ করলে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখায় তারা। তাদের এখন বিকল্প কোন থাকার ব্যবস্থা নেই। অথচ এ গুচ্ছগ্রামের অনেকে ঘর বন্দোবস্ত নিয়েও বসবাস করে না। অযথা দখল করে রেখেছে। আশ্রয় কেন্দ্রের ঘরগুলোও জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। নেই পর্যাপ্ত টিউবয়েল। নষ্ট হয়ে গেছে সবগুলো শৌচাগার।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র জানান, জেলা প্রশাসকের সাথে আলাপ করে দ্রুতই ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা এবং ধ্বসে যাওয়া স্থান মেরামত, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধের ব্যবস্থা করাসহ আশ্রায়নবাসীর জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা করা হবে।