৩১ মার্চ বালিয়াকান্দির সোনালী ব্যংকের সামনে থেকে আটক হয় প্রতারক চক্রের ১ জন সদস্য। পুলিশ সুপার জি.এম আবুল কালাম আজাদ, পিপিএম এর নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপ্স) মুকিত সরকার এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে, অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা, রাজবাড়ী মো. মনিরুজ্জামান খান এর নেতৃত্বে এসআই (নিরস্ত্র) মো. হাসানুর রহমান গোপন তথ্যের ভিত্তিতে প্রতারককে গ্রেপ্তার করে।
চাকুরির কথা বলে লাখ লাখ টাকা আয় করে প্রতারক চক্র। প্রতারনার নতুন কৌশল বেছে নিয়েছে ডোমাইনের একটি প্রতারক চক্র। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের চাকুরীর প্রলোভন দিয়ে চেক, স্ট্যাম্প নিয়ে প্রতারনা করতে গিয়ে রাজবাড়ী ডিবির কাছে আটক হয়েছে প্রতারক চক্রের ১ জন সদস্য।
আটককৃত প্রতারকের নাম মো. আলী রেজা সুমন (৩৮), পিতা মো. এবাদত হোসেন মোল্লা, থানা মধুখালী, জেলা ফরিদপুর।
প্রতারকের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বিভিন্ন চাকুরি প্রত্যাশীদের স্বাক্ষরিত ৫টি চেক, একটি নাগরিকত্ব সনদপত্র, ৪টি জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, অনলাইন পিইটি ফরম, ১টি একাডেমিক সনদের ফটোকপি, ১টি ফোন, ২টি সিম।
জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে প্রতিটি সরকারি দপ্তরে চাকুরীর সার্কুলার এলে সরব হয় এই চক্রটি। নেমে পড়ে প্রার্থী যোগাড়ে। সম্প্রতি শেষ হয়ে যাওয়া পুলিশ কনস্টেবল এবং প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সময় তারা বিভিন্ন প্রার্থী যোগাড় করে এই বলে যে, চাকুরী হওয়ার পরে টাকা। কিন্তু দিতে হয় সিকিউরিটি বাবদ ১৪ লাখ টাকার চেক, স্ট্যাম্প ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল মূল সনদ। মেধা ও যোগ্যতায় যাদের চাকুরী হয় তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। আর যাদের চাকুরী হয়না তাদের চেক স্ট্যাম্প দিয়ে শুরু করে নতুন প্রতারনা। তদন্তে আরো জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে প্রতারক চক্রটি এরকম প্রতারনা করে যাচ্ছিল। তাদের গ্রেফতারে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে চাকুরী প্রত্যাশীরা। রাজবাড়ী ডিবি পুলিশ প্রতারক চক্রের বাকি সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এ সংক্রান্ত রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ১ এপ্রিল আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।