রেলের টিকিট বিরাট সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি। ফলে সাধারণ মানুষ টিকিট কাটতে গেলে টিকিট পায়না। এই সিন্ডিকেটের সাথে বাইরের লোক, রেলের লোক এবং যারা টিকিট বিক্রির দায়িত্বে রয়েছে সেই সহজ ডটকমের লোক জরিত বলে মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।
বৃহস্পতিবার রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার জর্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী বৃন্দ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, এরই মধ্যে দুটি গ্রুপকে ধরা হয়েছে। যারা এই টিকিট সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট গুলো কালো বাজারে বিক্রি করতো। আমি সমস্ত এজেন্সির সাথে সভা করেছি, রেলের কর্মকর্তাদের সাথে সভা করেছি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথেও সভা করেছি এই কালো বাজারীদের ধরার জন্য। একটা কমিটি করা হয়েছে সবাইকে নিয়ে যাতে এই টিকিট কালোবাজারে না যায়। ট্রেনের টিকিট এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কালো বাজারে না গেলে মানুষ অনেক সহজেই টিকিট পাবে। আশা করি এসব সিন্ডিকেট আর থাকবে না। আগামী রমজানের ঈদেই মানুষ ঘরে ফিরতে সহজেই টিকিট পাবে ট্রেনের।
মন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি জামাত ক্ষমতায় থাকার সময় রেল একদম বসে গিয়েছিল। অনেক রেলপথ বন্ধ করে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এসব বন্ধ রেললাইন চালু হয়েছে। নতুন রেলপথে করেছি এই সরকার। এখান আমাদের অঞ্চলের মানুষ ট্রেনে চরে ঢাকা যেতে পারছে এটি এই আওয়ামী লীগ সরকারের অবদান।
মন্ত্রী বলেন, এখন ট্রেনের বগীতে আগুন দেয়। বেনাপুল এক্সপ্রেসে যে আগুন দিল সেই আগুনে আমার জেলার তিনজন মারা যায়। আমরা ট্রেনে নাশকতাকারীদের ধরতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। রেলের কারখানাগুলো থেকে মালা চুরি হয়ে যায়। সেগুলো রোধ করতে আমরা একটা কমিটি করেছি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলা মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মীর মো. আব্দুল বাতেনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম সফিকুল মোর্শেদ আরুজ, পাংশা উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ, বালিয়াকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, কালুখালী উপজেলা চেয়ারম্যান আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটো, পাংশা পৌরমেয়র ওয়াজেদ আলী মাস্টার, রাজবাড়ী পৌরমেয়র আলমগীর শেখ তিতু, পাংশা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন ইয়ামিন আলী, পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার প্রমুখ।
এর আগে মন্ত্রী রাজবাড়ী এসে পৌছালে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। তাকে স্বাগত জানান জেচলা প্রশাসক আবু কায়সার খান ও পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদ।