মোবাইল ফোনে মা-বোনের সাথে কথা বলছিল সৌদি আরবের দাম্মাম প্রবাসী রাফিজুল ইসলাম ওরফে বাবু (২৬) সাথে। কথা বলার সময় হঠাৎ করেই গোংরানির শব্দ ও মোবাইলে কথা বন্ধ হয়ে যায়। আর কথা হয়নি, পরে খোঁজ নিয়ে ছেলেকে হত্যার বিষয়টি জানতে পারি। সোমবার দুপুরে বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন ও কথাগুলো বলছিলেন নিহত বাবুর মা হাজরা বেগম। রাফিজুল ইসলাম ওরফে বাবু রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের আগমাড়াই গ্রামের ফজের সরদারের ছেলে।
নিহত রাফিজুল ইসলাম ওরফে বাবুর বোন লাভলী আক্তার, তানিয়া, বলেন, রবিবার সকাল ১১টার দিকে পাশের বাড়ীর আফসার সরদারের স্ত্রী জহিরণ বেগম বাড়ীতে আসে। সে বলে তার জামাই মনির বাবুকে মেরে ফেলবে, তোমরা কথা বলে তার সাথে ঝামেলা মারতে বলো। এ কথা শুনেই মোবাইল ফোনে কথা বলার মূহূর্তে ছুরি দিয়ে গলার কাছে কুপিয়ে হত্যা করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানতে পেরেছি। আমরা হত্যাকারী মনিরের ফাঁসি চাই। লাশ দেশে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করি।
নিহতের চাচা লিটন বলেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়নের মাধবদিয়া গ্রামের আলাই প্রামানিকের ছেলে মনির প্রামানিককে সৌদি আরবে আড়াই মাস আগে নেয়। তার আকামা না হওয়ায় সে কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যা করেছে। মনিরের শশুড়বাড়ীর লোকজন ঘরে তালা দিয়ে বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
সৌদি আরবে অবস্থানরত রিয়াজুল খান শওকত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি বাংলাদেশ থেকে খবর পেয়ে দাম্মামে আসি। এখন ওই হত্যার স্থানে এসেছি। রাফিজুল ইসলাম ওরফে বাবুকে ছুরি দিয়ে কানের নিছ থেকে গলা পর্যন্ত ঢুকিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।