রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় দায়সারাভাবে পুষ্টি সপ্তাহ পালনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের স্বাক্ষরিত স্মারক মোতাবেক জানা গেছে, সাড়ম্বরে দেশব্যাপী ২৩ থেকে ২৯ এপ্রিল জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালিত হবে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মসূচি মোতাবেক রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের প্রথমদিন সম্পন্ন হয়েছে গত শনিবার। ওইদিন আপ্যায়ন, ডেকোরেশন, ব্যানার,বিলবোর্ড, স্টেশনারী ও প্রচারণা করার কথা। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছিলো ২০ হাজার ৫ শ টাকা। কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ শুধুমাত্র ৩শ টাকার ব্যানার তৈরি করে ১ম দিনের ওই কর্মসূচি সম্পন্ন করেছে।
রবিবার কর্মসূচির ২য় দিন ৭ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিলো নাস্তা বাবদ। ওইদিনের কর্মসূচিতে ১০ জন কিশোর কিশোরীসহ ৩০ জন উপস্থিত ছিলো ।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের জন্য স্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে উন্নত খাবার দেবার নির্দেশনা থাকলেও দেওয়া হয়েছে ১টি করে সিঙ্গাড়া, মিষ্টি, আপেল ও কেক। পানির ব্যবস্থাও ছিলো না। কিশোর কিশোরীরা জানায়, তাদের পিছনে ২শ ৩৩ টাকা খরচ দেখানো হলেও তারা পেয়েছে মাত্র ২৫ টাকার নাস্তা। এদিনের অনুষ্ঠানে আগের দিনের ব্যানার ব্যানার ব্যবহার করা হয়।
সোমবার সম্পন্ন হয়েছে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের ৩য় দিন। এদিন ৮ জন নবীণ শিক্ষক ও ৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। তবে কাগুজে উপস্থিতি দেখানো হয়েছে ২৫ জনকে। ছয়জন অতিথির মধ্যে রিসোর্স পারসন ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম ও উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোঃ নাজমুল হাসান ।
দায়সারা এই কর্মসুচি সম্পর্কে জানার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: ফারজানা ইসলামের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: এসএম শাহাদত মিরাজ জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: ফারজানা ইসলাম প্রশিক্ষণের জন্য জেলার বাইরে রয়েছেন। পুষ্টি সপ্তাহের বাজেট ও ব্যয় সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না।
তবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: ফারজানা ইসলাম কর্মস্থলে না থাকলেও তার ক্রয় ও ব্যয় সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করছেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক সুশীল কুমার রাহা।
এব্যাপারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক সুশীল কুমার রাহার সাথে ফোনালাপে তিনি জানান, আমার কিছুই করার নেই। ম্যাডাম আমাকে যা করতে বলেছেন আমি তাই করেছি।