আসন্ন ঈদে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া-নৌরুটে সুষ্ঠুভাবে যান পারাপারের লক্ষ্যে সোমবার রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সালাউদ্দিন, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিজুল হক খান, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র মোঃ নজরুল ইসলাম, এনএসআই রাজবাড়ী অফিসের উপপরিচালক শরিফুল ইসলাম, বিআইডাব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান, বিআইডাব্লিউটিএ এর পোর্ট অফিসার শাহ আলম মিঞা, রাজবাড়ী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হাসান সহ অনেকে।
এসময় বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হাসান অভিযোগ করেন, শুকনো মৌসুমেও দুর্ভোগ থাকে দৌলতদিয়া ঘাটে। কয়েকদিন পরেই ঈদ। তখন যানবাহণ ও যাত্রীর চাপ আরো বাড়বে। কিন্তু আমরা পরিবহনের চালক ও যাত্রীদের কাছ থেকে একটা অভিযোগ পেয়ে থাকি যে, ফেরির ধীর গতি। আবার ৩ নম্বর ঘাট ফাকা আছে তারপরেও ৫ নং ঘাটে গিয়ে ফেরি দাঁড়িয়ে থাকে। লোড আন লোডে সময় লাগাবে বেশি। একটু গতিতে ফেরিগুলো চালানে ১০ মিনিট আগে ঘাটে আসে। এভাবে ২০টি ফেরি যদি ১০ মিনিট করে সময় বাঁচায় তাহলে ফেরি টিপ সংখ্যা বাড়ে। আর ঘাটে ভোগান্তিও কমে। বিষয়গুলোর দিকে নজর দেবার অনুরোধ জানান বাস মালিক সমিতির সম্পাদক।
বিআইডাব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৯টি ফেরি চলছে। ঈদের আগে আরো দুটি ফেরি যুক্ত হবে। মোট ২১ ফেরি চলবে ঈদের সময়। কোন প্রাকৃতিব দুর্যোগ না হলে ভোগান্তি থাকবে না। এসময় সভায় সিদ্ধান্ত হয় ঈদের তিনদিন আগে ও তিনদিন পরে ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকবে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া রুটে। তবে শুধুমাত্র কাঁচামাল বোঝাই ট্রাক পার হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে দৌলতদিয়া ঘাটে। তবে সভায় অনেকেই বলেন দীর্ঘদিন ধরে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ভোগান্তি রয়েছে ফেরি পারাপারে । যানবাহনের ফেরি পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় ঘাটে । এই অবস্থা চলতে থাকলে দুর্ভোগ কয়েকগুন বাড়তে পারে ঈদের সময়।