পাখি চায় শান্ত পরিবেশ, পাখি চায় নিরিবিলি আবাসস্থল। আর এই পাখিদের শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশ এখন রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোঠ ভাকলা ইউপির প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব পাড়া গ্রাম। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সবুজের মাঠ জুড়ে চৈত্রের শেষে বৈশাখীর প্রখর তাপের মধ্যে যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই শুধু বক পাখি আর বক পাখি। “আর্ডেইডি গোত্রের অন্তর্গত লম্বা পা বিশিষ্ট মিঠাপানির জলাশয় ও উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী মৎস্যভোজী একদল জলচর পাখিকে বক বলা হয়। পৃথিবীতে স্বীকৃত মোট ৬৪ প্রজাতির বক রয়েছে। এসব বকের কিছু প্রজাতি আকৃতি ভেদে বগলা ও বগা নামে পরিচিত। আর বগাদের শরীরে সাদার প্রাধান্য বেশি। সারা বিশ্বে বিভিন্ন প্রজাতির বকের বিস্তৃতি থাকলেও নিরক্ষীয় ও ক্রান্তীয় অঞ্চলে এদের বিস্তৃতি সবচেয়ে বেশি”। পাখি গুলো কখনো দল বেঁধে একসাথে উড়ছে আবার কখনো বা ঝাঁক বেঁধে সামান্য উঁচু আকাশ থেকে মাটিতে নেমে আসছে। পাখিগুলো যখন ঝাঁক বেঁধে আকাশে উড়ে বেড়ায় তখন প্রকৃতি সাঝে শান্তির প্রতিক সাদা নিলিমায়। চৈত্রের প্রখর তাপের মধ্যে চাষীরা যখন তাদের জমিতে চাষ দিতে ব্যস্ত ঠিক তখনি সাদা বক পাখির দল ভিড় জমায় কৃষকের চারপাশে। পাখিগুলো ডানা মিলে উড়তে থাকে ক্ষেতের এপাশ থেকে ওপাশে। এ যেনো সাদা বক পাখির মিলন মেলা।
সাদা বক পাখির মিলন মেলা দেখতে চাইলে গোয়ালন্দ উপজেলার পৌর জামতলা বাজার থেকে অটোতে অথবা রিকসা যোগে যেতে হবে ছোট ভাকলা ইউনিয়নের সোহরাব পাড়া গ্রামের মেঠোপথ দিয়ে দিগন্ত জুড়ে ফসলের মাঠে। ওই গ্রামের সাবেক মেম্বার কৃষক ইসহাক খান জানান, আমাদের গ্রামে অনেক বছর ধরেই চলছে বক পাখির বিচরণ। পাখিরা এখানে প্রতিদিন দল বেঁধে আকাশে উড়ে বেড়ায় আবার কখনো কখনো ফসলের মাঠ জুড়ে গুটিগুটি পায়ে বিচরণ করে। আমাদের পাখিগুলো দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। এজন্য আমরাও তাদের এমন বিচরণে কখনো বাধা দেয় না।