ডেস্ক রিপোর্টঃ

নিম্ন জীবনযাত্রার মানের কারণে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ দানা বাঁধছে। আন্দোলনের মুখে সম্প্রতি মৌলিক খাদ্যের ওপর থেকে কর কমানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। খাদ্য মূল্যস্ফীতির হারে বিরাট ভূমিকা পালন করে। তুরস্কের লাগামছাড়া মূল্যস্ফীতি রুখতে জরুরি খাদ্যের কর ৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার ঘোষণা দিয়েছেন এরদোগান। আজ থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে। কর কমানোয় খাদ্য প্রতিষ্ঠানগুলো দাম ৭ শতাংশ কমাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন এরদোগান।

চলতি বছর জানুয়ারিতে প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী, তুরস্কে বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৪৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকৃত মূল্যস্ফীতির হার ১১৫ শতাংশকেও ছাড়িয়ে গেছে। এরদোগান জানান, মূল্যস্ফীতির কারণে আমরা দেশকে ধ্বংস হতে দেব না। কম সুদহারের কারণে মূল্যস্ফীতি দেখা দেয়। তবে এর বিপরীতটাই ধারণা এরদোগানের। খবর এপি। অপর এক খবরে বলা হয়, প্রায় এক দশক পর সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান।

এরদোগানের দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আমিরাতের সঙ্গে বেশ কয়েকটি চুক্তি হতে পারে। খবর আনাদোলুর। আমিরাতের যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের আমন্ত্রণে এরদোগান আবুধারি যাচ্ছেন। কূটনীতিক, অর্থনৈতিক ও আঞ্চলিক ইস্যু ছাড়াও দুই নেতার মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হবে। সফরের শেষ দিনে মঙ্গলবার দুবাই এক্সপো পরিদর্শনে যাবেন এরদোগান। এক দশক আগে কথিত আরব বসন্ত শুরুর পর মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারের লড়াইয়ে নামে তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

এর অংশ হিসেবে লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে দুই দেশ পরস্পরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, একইভাবে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের রাজনীতিতেও দুই দেশের অবস্থান দুই মেরুতে। শুধু সিরিয়া ইস্যুতে দুই দেশের অবস্থান অনেকটা এক বিন্দুতে ছিল। গত বছরের আগস্টে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান জানান, তার দেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নত হচ্ছে, যার ধারাবাহিকতায় আমিরাত তুরস্কে বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে পারে। এপি, আনাদোলু।