রাজবাড়ী-ফরিদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজবাড়ী সদর উপজেলার কল্যাণপুর এলাকায় দুই বাসের সংঘর্ষে এক গার্মেন্টকর্মীর হাত বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এসময় আরও ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গার্মেন্টকর্মী সাহিদাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে কুষ্টিয়া থেকে দৌলতদিয়াগামী পদ্মা-গড়াই ও রোজিনা পরিবহনের সঙ্গে সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিনারায়নপুর গ্রামের আনসার বিশ্বাসের মেয়ে ঢাকার সাভারের গার্মেন্টসকর্মী সাহিদা বেগম (৩০), আল্লার দরগার মাসুদ (৪৫), দৌলতপুরের চিলমারীর মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন (৩৫), তার স্ত্রী রেশমা (৩০), একই গ্রামের ইউসুফের স্ত্রী জুলেখা (৫৫)। অন্য আহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আহতরা জানান, কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা পদ্মা-গড়াই বাসটি দৌলতদিয়া যাচ্ছিল। কল্যাণপুর এলাকায় রোজিনা পরিবহনকে সাইড দিতে গিয়ে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। হাত বিচ্ছিন্ন হওয়া গার্মেন্টসকর্মী সাহিদা জানান, তিনি সাভারে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। কর্মস্থলে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত ডা. শারমিন জাহান বলেন, হাসপাতালে এ পর্যন্ত ৫ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের ডান হাত বিচ্ছিন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, পদ্মা-গড়াই ও রোজিনা পরিবহনের সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় লোকজন সড়ক অবরোধ করলে সবাইকে সরিয়ে দিয়ে চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাস দুটি জব্দ করা হয়েছে।