রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে দিনব্যাপী উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে ও জাতীয় পুষ্টি সেবার বাস্তবায়নে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ১৬ হাজার ২শ ৬০জন শিশুকে খাওয়ানো হয়েছে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল। উপজেলায় ৯৭ কেন্দ্রে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একযোগে এ ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম শুরু করা হয়।
উপজেলার স্বাস্থ্য কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাইয়ে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারসিন তারান্নুম হক, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শরিফুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডাঃ আঁখি, ডাঃ আসফিয়া হিমি, ডা নাজনিন নাহার নিরা, ডাঃ উম্মে জহরা, মেডিকেল ট্যাকনোলজিস্ট মো. রফিকুল ইসলাম, নার্সিং সুপারভাইজার মৃদুলা বিশ্বাস, ফিমেল ওয়ার্ড ইনচার্জ মুক্তা সরকার, রমা রানী ভক্ত প্রমুখ।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারসিন তারান্নুম হক উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরে ঘুরে শিশুদেরকে নিজেই ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ান ও কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্তদেরকে সঠিক ভাবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। অপরদিকে দৌলতদিয়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উম্মে তানিয়া নিজে উপস্থিত থেকে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দিনব্যাপী ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে গোয়ালন্দ পৌরসভা সহ উপজেলার সকল ইউনিয়ন ওয়ার্ডে ৬-১১ মাস বয়সী ২হাজার ৫৬ জন শিশুকে এক লাখ আইইউ মাত্রার একটি নীল ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ১৪ হাজার ২শ ৪ জন শিশুকে দুই লাখ আইইউ মাত্রার একটি লাল ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ফারসিন তারান্নুম হক বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে অন্ধত্ব প্রতিরোধ ছাড়াও শিশুর দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত হয়। শিশু মৃত্যু হার হ্রাস করে। হাম, ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়ার কারণে মৃত্যুহার হারে কমে আসে।