রাজবাড়ীর পাংশায় বাচ্চাদের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ১২ জুন রাতে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার কসমেটিকস্ ব্যাবসায়ী শামিম রেজার অবস্থা সংকটাপন্ন। শামিম উপজেলার যশাই ইউপির উদয়পুর মৃত সালাম খানের ছেলে। পাংশা দত্ত মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
পাংশা থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ মে উদয়পুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাচ্চাদের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শামিমের সাথে অভিযুক্তদের বিরোধ তৈরি হয়। এরই এক পর্যায়ে ১২ জুন রাত আনুমানিক ১০টার দিকে শামিম কাজ শেষে পাংশা শহর থেকে ভাগ্নে ও এক পরিচিত ছেলে সহ তিনজন মটর সাইকেলযোগে উদয়পুর নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। চরলক্ষীপুর ভাঙ্গা ব্রিজ পার হয়ে ব্রিজের কাছে পৌছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র সহ দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এবং তার কাছে থাকা নগত ৪ লক্ষ ৮২ হাজার চারশত সত্তর টাকা ও আনুমানিক পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় স্থানিয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় শামিমকে প্রথমে পাংশা উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেলেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানান শামিমের পরিবার।
এ ঘটনায় শামিমের মা আমেজান নেছা বাদি হয়ে যশাই ইউপির ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য মেহেদী হাসান, আতিয়ার রহমান, আজগর আলী, সোহান মন্ডল, সুজন, ইব্রাহিমসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে পাংশা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
যশাই ইউপি চেয়ারম্যান আবু খান বলেন, খেলাকে কেন্দ্র করে ওদের দু পক্ষের মধ্যে একটা ঝামেলা তৈরি হয়। আমি মিমাংসার জন্য দু-পক্ষকে ডাকি। কিন্তু এক পক্ষ না আসায় সমাধান করা সম্ভব হয়নি।
হামলার বিষয়ে অভিযুক্ত সোহান ও আজগর এর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা এ হামলার সাথে যুক্ত নই।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ফজর আলী বলেন, ঘটনায় পরিপেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান ও আতিয়ার নামে দুজন আসামীকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। অপর আসামীরা আদালতে জামিন চাইলে বিজ্ঞ আদালত চারজনকে জামিন প্রদান করেন এবং একজনকে জেলহাজতে প্রেরন করেন।