রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে বুধবার জেসমিন বেগম (২১) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিনি একই গ্রামের মোহম্মদ সেতুর স্ত্রী। গৃহবধূর বাবার বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, যৌতুক না দেওয়ায় জামেনা বেগমকে শ^শুর বাড়ির লোকেরা হত্যা করেছে। পুলিশ গৃহবধূর স্বামী সেতুকে আটক করেছে। জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে সেতু একই ইউনিয়নের গঙ্গানন্দপুর গ্রামের জামাল বিশ্বাসের মেয়ে জেসমিন বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। প্রেমের বিয়ে হলেও সেতু যৌতুকের জন্য জেসমিনকে নির্যাতন করতো।
জেসমিনের বাবা জামাল বিশ^াস জানান, তার মেয়েকে যৌতুকের জন্য জামাতা সেতু মাজে মধ্যেই নির্যাতন করতো। কিছুদিন আগে ঋণ করে সেতুকে এক লাখ টাকা দেন। সেই টাকা এখনও শোধ করতে পারেননি। সেতু আরও টাকা দাবি করতে থাকে। বুধবার সকালে সেতুর বোন তাকে ফোন করে বলে; আপনার মেয়ের অবস্থা খারাপ তাকে ডাক্তারের কাছে নিতে হবে। এ কথা শুনে তিনি মেয়ের বাড়িতে ছুটে যান। দেখেন মেয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। তার গলায় দাগ ছিল। হয়তো তার মেয়ে ওই সময় মৃতই ছিল। তবুও বাবার মন মানে না। তাই রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। ডাক্তার দেখে মৃত ঘোষণা করেন। তার মেয়েকে সেতুসহ তার পরিবারের লোকজন মেরে ফেলেছে বলে ধারণা তার।
কালুখালী থানার ওসি নাজমুল হাসান জানান, গৃহবধূ জেসমিন বেগমের সুরতহালের পর ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে গলায় কালসে দাগ রয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেসমিনের স্বামী সেতুকে হেফাজতে রেখেছে। এ বিষয়ে গৃহবধূর বাবার বাড়ির পক্ষ থেকে এখনও লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।