রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার আলোচিত পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষককে গুলি করে হত্যার পাঁচ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলো পাংশার হাটবনগ্রামের কলম শেখের ছেলে শাকিবুল হাসান, আনন্দ সরকারের ছেলে আকাশ সরকার, ইন্দ্রোজিত সরকারের ছেলে রাম প্রসাদ সরকার, অজিত সরকারের ছেলে বিজয় কুমার সরকার ও অরবিন্দ সরকারের ছেলে বাদল সরকার। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় একনলা বন্দুক ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। আসামী সকলেই পুলিশের কাছে শিক্ষক মিজানুর রহমান মুকুকে হত্যা করেছে বলে দায় স্বীকার করেছেন।
পাংশা সার্কেল পুলিশ সুপার সুমন কুমার সাহা, অফিসার ইনচার্য মো মাসুদুর রহমান ও দিপঙ্কর কুমার কুন্ডু সহ পুলিশ সদস্যদের সহযোগীতায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার সকাল ১১ টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে রাজবাড়ী পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, গত ৩০ এপ্রিল পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিজানুর রহমান মুকু হোসেন ডাঙ্গা বাজারে তার দোকানের হালখাতা শেষ মোটর সাইকেলে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বলাই বিশ্বাসের বাড়ির সামনে ভাঙ্গা রাস্তার কাছে মোটর সাইকেলের গতি রোধ করে ওৎ পেতে থাকা ৮/১০ জনের একদল সন্ত্রাসী তাকে বাধা দেয়। এবং তার সাথে তর্কবিতর্ক করতে থাকে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা মিজানুর রহমানের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। এসময় মাটিতে লুটিয়ে পরে শিক্ষক মিজানুর রহমান মুকু। গুলির শব্দ শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তাকে মাটিতে লুটিয়ে পরে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে টহল পুলিশের সদস্যরা এসে তার মৃত দেহ পরে থাকতে দেখেন। এ ঘটনায় মিজানুর রহমানের স্ত্রী শাহানারা বেগম পাংশা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলা ও হত্যার জের ধরে তাদের পাংশার বিভিন্ন স্থান থেকে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচ ছিনতাইকারীতে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের প্রাথমিক ধারনায় মিজানুরকে হত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিল হালখাতার টাকা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই তাকে হত্যা করা হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ মামলাটির তদন্ত নিস্পত্তি ও আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানান।