আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ৩০ লক্ষ শহীদ আর দুই লক্ষ মায়ের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙালির হাজার বছরের যে শ্রেষ্ঠ অর্জন তাঁর দুঃসাহসিক ঘোষণা হয়েছিলো এই দিনে। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট, ৬৪’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯ এর গন অভ্যুত্থান এবং ৭০ এর নির্বাচনসহ ২৩ বছরের দমন পীড়ন শোষণ-শাসন পেরিয়ে অত্যাচরের সীমা লঙ্ঘনের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে বাঙালীদের উজ্জীবিত করেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামে। মুক্তিকামী জনতার ঢেউকে সেদিন দমাতে পারেনি পশ্চিমা হায়েনারা। নয় মাসে অবশেষে অর্জিত হলো স্বাধীনতা। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সর্বঅঞ্চলে সবুজের বুকে রক্তের ঢেউ দিয়ে উড়তে লাগল বাংলার পতাকা। শেখ মুজিব হলেন জাতির পিতা। শুরু হলো ভঙ্গুর এক রত্তাক্ত জনপদে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার পুনর্গঠন। কিন্তু তা আর অগ্রসর হলো না। দেশী বিদেশী কুচক্রি মহল বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারসহ সমগ্র জাতিকে থামিয়ে দিল। জাতির অস্তিত্বকে ক্ষতবিক্ষত করে বাঙালীর মনন জুড়ে বেয়নেটের আঁচড় পুঁতে দিল। আবারও সংগ্রাম। আবারও আন্দোলন। এবার শুধু দেশ গঠনের। বঙ্গবন্ধুকে রক্তাক্ত মানচিত্র থেকে মুছতে পারবেনা ওরা কোন কিছুতেই। এই ছিল পণ। বঙ্গবন্ধুর রক্ত প্রবাহ বাঙালিকে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় উজ্জীবিত করল। এ স্বúœ পূরণে তার সুযোগ্য কন্যা ও বিশ্ব মানবতার মাতা জননেত্রী শেখ হাসিনা দুঃসাহসিক অভিযানে আবির্ভূত। এমডিজি পূরণে সর্বাগ্রে আর এসডিজি ’র লক্ষ্যমাত্রা এখন হাতের নাগালে। দুর্ভিক্ষগ্রাসী বাঙালী এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাঙালির মাথা পিছু গড় আয় এখন ২৫৫৪ মার্কিন ডলার। জিডিপি অর্জন পশ্চিমা হায়েনা পাকিস্তান থেকে বহগুণে এগিয়ে। এই সবকিছুই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণের অঙ্গিকার। বাঙালি জাতি হিসেবে এই যাত্রায় মুক্তিযোদ্ধা আমিও একজন কর্মী। এদেশ গঠনে মুক্তি সংগ্রামের চেতনায় সার্বক্ষণিক সকল সরকারি সিদ্ধান্তে ও বঙ্গবন্ধু কন্যার দুর্নীতিবিরোধী জিরো টলারেন্স নীতির সাথে একাকার। আসুন বঙ্গবন্ধু কন্যার নির্দেশনার সাথে দেশ গঠনে দীপ্ততা নিয়ে এগিয়ে যাই।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার
চেয়ারম্যান
জেলা পরিষদ, রাজবাড়ী