মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনে খ্যাত রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলাতে চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের হালি চারা রোপনে ব্যস্ত কৃষক। একদিকে এ বছর পেঁয়াজে উল্লেখযোগ্য দাম না পাওয়ায় এলাকা ভিত্তিক তেল ও গমের আবাদ অনেক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে পেঁয়াজ চাষীরা তাদের লক্ষ্য অর্জনে পিছপা হচ্ছে না। তারা অধিক উৎপাদন করতে উন্নত জাতের পেঁয়াজ হালি রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার নারুয়া, বালিয়াকান্দি, ইসলামপুর, জামালপুর, নবাবপুর, বহরপুর ও জঙ্গল ইউনিয়নে ১০ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা করা হয়েছে। এ অঞ্চলে ফরিদপুরী, তাহেরপুরী পিয়াজের চাষ বেশি হয়।
চাষী কারী আব্দুল মজিদ, মজিবর রহমান, শফিউদ্দিন জানান, চলতি মৌসুমে বৃষ্টি না থাকার কারনে পেঁয়াজ ক্ষেতে কয়েক দফা সেচ দিতে হতে পারে। কোনরূপ প্রতিবন্ধকতা না হলে বিঘা প্রতি একশ মনের টার্গেট রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে পিঁয়াজ চাষে তেমন কোন সহযোগিতা পাওয়া যায় না। বীজের সরবরাহ থাকলে আরো বেশি পরিমান কৃষক পিঁয়াজ চাষে ঝুকতো। পেয়াজ বিক্রি করাও সহজ। স্থানীয় বাজারে নিয়ে গেলেই বিক্রি করা যায়। যা অন্য ফসলের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। তবে পেঁয়াজ বীজ ক্রয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান না থাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়িদের কাছ থেকে পিয়াজের দানা কিনে প্রতারিত হতে হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সরকার গম ও তেল জাতীয় পন্যের আমদানি নির্ভর কমাতে প্রনোদনা দিচ্ছে ফলে জমির প্রকারভেদ অনুযায়ি এ জাতীয় ফসল লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুন জমিতে আবাদ হচ্ছে। অপরদিকে পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ বেশী হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রেখে অধিক ফলনের আশায় উন্নত জাতের পেঁয়াজ রোপন করছে। পেঁয়াজ চাষে প্রনোদনা ও সঠিক সময়ে উন্নত জাতের বীজ সরবরাহ করতে পারলে কৃষক মনোবলের সাথে উৎপাদন চালিয়ে যাবে। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে ধরে রাখতে পারবে পেঁয়াজ উৎপাদনের খ্যাতি।