রাজবাড়ী শহরতলীর লক্ষীকোলে লালন সাধকদের অংশগ্রহণে দুই দিন ব্যাপী সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাউল শিল্পী সুচনা শেলির আয়োজনে তার নিজ বাড়ির আঙিনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত অষ্ট প্রহরব্যাপী এ সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া, মেহরপুর, চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের অর্ধ শতাধিক লালন ভক্ত এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে লালনভক্ত ও অনুসারীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে সাধুসঙ্গ। বাউল গান পরিবেশন করেন টুনটুন বাউল, বাউল বলাই শাহ, জহুরা ফকিরানী, ফকির নহির শাহ, ফকির সামসুল শাহ, ডাবলু বাউল, শারমিন বাউলানী, আলাউদ্দিন বাউল, আলতাফ বাউল, রনি বাউল প্রমুখ। রাতভর বাউল গান শেষে ভোরে লালন ভক্তরা একসঙ্গে গোষ্ঠ গান করেন। শুক্রবার দুপুরে অনুষ্ঠিতহয় সাধুসেবা।
সাধুসঙ্গে কুষ্টিয়া থেকে আগত লালনভক্ত বাউল হৃদয় সাই বলেন, নিঃসন্দেহে অনেক সুন্দর আয়োজন হয়েছে এখানে। লালন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন আত্মাকে। আত্মাকে জানলেই সৃষ্টিকর্তাকে জানা যায়। মানুষের মধ্যেই সৃষ্টিকর্তা- এটাই লালন দর্শনের অন্যতম মতবাদ। ভবে মানুষ গুরু নিষ্ঠা যার, সর্ব সাধন সিদ্ধি হয় তার। মানুষ ভজনই বাউল দর্শনের মূল তত্ত্ব। তিনি সবকিছুর ঊর্ধ্বে মানবতাবাদকে স্থান দিয়েছেন। তার এই দর্শন প্রচারের জন্য তিনি শিল্পকে বেছে নিয়েছেন।