রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার খোর্দমেগচামী গ্রামের বটতলায় শুক্রবার বিকেলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আলামিন মোল্লার হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মেগচামী ও খোর্দমেগচামী গ্রামের বাসিন্দাদের উদ্যোগে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
ঘণ্টাব্যাপি চলা মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন নিহতের ফুফু ছাবিনা বেগম, চাচা সিরাজ মোল্লা, আবদুল মাজেদ মোল্লা, বদর উদ্দিন, সৈয়দ আলী মোল্লা প্রমূখ। বক্তারা বলেন, আলামিনের হত্যার সঙ্গে মুরগীর খামার মালিক মিজান, জুমাত ও সরোয়ার জড়িত। তাদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসি দিতে হবে।
রাজবাড়ীর সীমান্তবর্তী ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় মেগচামী ইউনিয়নের বিলসিংহনাথ বিলের একটি ধান খেত থেকে গত বুধবার দুপুরে মরদেহের কংকাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া কংকাল নিখোঁজ যুবক আলামিন মোল্লার বলে দাবি পরিবারের স্বজনদের। আলামিন মোল্লার (১৭) বাড়ি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের খোদ্দ মেগচামী গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আকিদুল মোল্লা। আকিদুল পাইককান্দি গ্রামের বাসিন্দা আহাদ আলী ফকীরের ছেলে মিজানুর রহমানের মুরগীর খামারে কাজ করতো।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আল আমিন বেতনভূক্ত কর্মচারী হিসেবে মিজানুরের মুরগীর খামারে কাজ করতো। ৬ সেপ্টেম্বর রাতে খামার থেকে সে নিখোঁজ হয়। ১১ সেপ্টেম্বর তাঁর বাবা বালিয়াকান্দি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। ১৫ নভেম্বর তিনি রাজবাড়ী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
রাজবাড়ীর সিআইডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুল রহমান বলেন, নিহতের ফুফাতো ভাই দাবি করেছে উদ্ধার করা কংকাল নিখোঁজ আল আমিনের। কংকাল, জিন্স প্যান্টের অংশ বিশেষ ও বেল্ট উদ্ধার করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার করা হবে। ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।