রাজবাড়ীতে ছাত্রদলের কর্মসূচি শেষে দুই কর্মীকে আটক করে রাজবাড়ী সদর থানার পুলিশ। তারা হলো ছাত্রদল কর্মী আক্তার হোসেন ও শিপন শেখ। তাদের বাড়ি রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। পরে বিএনপি অফিসের পাশে পড়ে থাকা সাতটি ককটেল উদ্ধার করেছে বলে দাবি পুলিশের। রোববার বিকেল চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই আসামিসহ ছাত্র ও যুবদলের ১৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা হয়েছে। রোববার রাতে রাজবাড়ী সদর থানার এসআই মো. সেলিম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর আসামিরা হলো জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাবেক ভিপি খায়রুল আনাম বকুল, রাজবাড়ী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর যুবদল নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন স¤্রাট, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রোমান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. আরিফ, ছাত্রদল নেতা মনোয়ার হোসেন মিন্টু, গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ গিটার, মো. রকি, মো. মাসুদ, হাসান মিজি, শাহিনুর রহমান শাহিন ও মো. রিফাত।
ছাত্রদলের এক নেতা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুরে ছাত্রদল কর্মী নিহতের প্রতিবাদে বিকেল চারটার দিকে জেলা বিএনপি কার্যালয় চত্ত্বরে মিছিল ও সমাবেশ করে। পুলিশ মিছিল নিয়ে বাইরে যেতে নিষেধ করলে তারা যায়নি। ছাত্রদলের কর্মসূচি শেষ হলে পুলিশ অফিসের পেছন দিয়ে চলে যেতে বলে। তারা সেভাবেই চলে যাচ্ছিল। হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ দুজনকে আটক করে।
জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রোমান মামলা প্রসঙ্গে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদল কর্মী নিহতের প্রতিবাদে তারা জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে মিছিল বের করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। তারা পার্টি অফিস চত্ত্বরেই শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল সমাবেশ করেছেন। পরে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিলের অপেক্ষায় বসেছিলেন। ওই সময় পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই তাদের উপর লাঠিচার্জ ও দুজনকে আটক করে। এতে ছাত্রদলের কয়েক কর্মী আহত হয়। আর ককটেল উদ্ধারের ঘটনা পুলিশের সাজানো নাটক। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পুলিশ এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি সাহাদত হোসেন জানান, সরকারি কর্মচারীকে তার দায়িত্ব পালনে বাধা দান, মারপিট এবং বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।