আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদৎ বার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে বিপথগামী একদল সেনা সদস্যদের হাতে নির্মমভাবে শাহাদৎ বরণ করেন। সেই সাথে শহীদ হন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ অনেক নিকট আত্মীয়। এমন ঘটনা কেবল দেশের ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসেও বিরল। আমি শোকাহত চিত্তে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। এছাড়াও পরম করুণাময় আল্লাহর দরবারে সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালী জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা মহান স্বাধীনতার রূপকার। ১৯৪৮ সালে ভাষার দাবীতে তার নেতৃত্বে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিলো। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট, ৬৪’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান এবং ৭০ এর নির্বাচনসহ ২৩ বছরের দমন পীড়ন শোষণ-শাসন পেরিয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। নয় মাসে অবশেষে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। কিন্তু স্বাধীনতার স্বপ্ন সাধ বাঙালির আর পূরণ হয়নি। দেশী বিদেশী কুচক্রি মহল বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে হত্যা করে সমগ্র জাতিকে থামিয়ে দেয়। স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্ত বঙ্গবন্ধুর বাঙালিকে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় কুঠারাঘাত করল।
কিন্তু এ স্বপ্ন পূরণে তার সুযোগ্য কন্যা ও বিশ্ব মানবতার মাতা জননেত্রী শেখ হাসিনা দুঃসাহসিক অভিযানে আবির্ভূত। এমডিজি পূরণে সর্বাগ্রে আর এসডিজি ’র লক্ষ্যমাত্রা এখন হাতের নাগালে। দুর্ভিক্ষগ্রাসী বাঙালি এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণ। বাঙালির মাথা পিছু গড় আয় এখন ২৫৫৪ মার্কিন ডলার। জিডিপি অর্জনে পাকিস্তান থেকে বহগুণে এগিয়ে। এই সবকিছুই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণের অঙ্গিকার।
বাঙালি জাতি হিসেবে এই যাত্রায় আমিও একজন কর্মী। এ দেশ গঠনে মুক্তি সংগ্রামের চেতনায় সার্বক্ষণিক সকল সরকারি সিদ্ধান্তে ও বঙ্গবন্ধু কন্যার দুর্নীতিবিরোধী জিরো টলারেন্স নীতির সাথে একাকার। আসুন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নির্দেশনার সাথে দেশ গঠনে দীপ্ততা নিয়ে এগিয়ে যাই।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গ বন্ধু।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার
প্রশাসক
জেলা পরিষদ, রাজবাড়ী।