মোক্তার হোসেন, পাংশা ঃ প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে রেহেনা খাতুন (৫০) নামের এক নারী পাংশা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রেহেনা খাতুনের বাড়ী পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের বিলসারিন্দিয়া গ্রামে। তার স্বামীর নাম আব্দুল ওহাব মল্লিক। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ বাড়ীর উপর হামলার শিকার হয় সে।
জানা যায়, ওহাব মল্লিকের বড়ভাই আব্দুল হক বাড়িতে একতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করছেন। ভবনের ছাদের পানি বের করার জন্য যেখানে পাইপ দিয়েছেন তাতে ওহাব মল্লিকের জায়গায় পানি পড়বে। বিশেষ করে ওহাব মল্লিকের খড়ের পালার উপর পানি পড়বে। তাতে ওহাব মল্লিকের ক্ষতি হবে। এ কারণে ছাদের পাইপ সরিয়ে অন্যদিকে লাগানোর কথা বলায় তারা ক্ষুব্ধ হয়। এ নিয়ে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হলে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে প্রকিপক্ষের লোকেরা ওহাব মল্লিকের পরিবারের লোকজনের উপর ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।
হামলায় ওহাব মল্লিকের স্ত্রী রেহেনা খাতুন (৫০), কন্যা তাসলিমা (৩০) ও পুত্র আব্দুল মামুন (২২) আহত হয়। ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় রেহেনা খাতুনকে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তাসলিমা ও মামুনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ওহাব মল্লিক জানান, হামলার ঘটনায় তার স্ত্রী রেহেনা খাতুনের মাথায় ও চোখের উপরে কপালে বেশ কয়েকটি সেলাই লেগেছে। বাম হাতের ১টি আঙ্গুলের মাথা কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা ফাটা ও ফোলা জখম হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তারা আতংকের মধ্যে রয়েছেন।