বিন¤্র শ্রদ্ধাঞ্জলি হে বঙ্গমাতা
আমাদের অশ্রুসিক্ত অন্তরে যেন
পবিত্র কারবালা প্রান্তরের হাহাকার
৮ আগস্ট হে বঙ্গমাতা আজ তোমার শুভজন্মদিন
১৯৩০ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়
সুরভিত বাগানের বুকে ফুটেছিল এক টকটকে লাল গোলাপ
ঝলমলে কৈশোর পেরিয়ে সোনালী দিনের প্রতীক্ষায়
ভরপুর সংসারে সফল জীবন ছিল তোমার।
অথচ কত মর্মান্তিক ভয়ঙ্কর নৃশংসতার শিকার হয়ে
পচাত্তরের ১৫ আগস্টে রক্ত ¯্রােতে ভেসে গেলে অন্তিম যাত্রায়
হায় মাতম হায় মাতম চারিধার।
বেইমান ঘাতক হানাদার রাজাকার আলবদর
আল সামসের উত্তরসুরির বুলেটের আঘাতে
সপরিবারে শহিদ হয়েছিলে হে বঙ্গমাতা।
তোরা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে খুন করেছিস।
তোরা মুখোসধারী শয়তান
জাতির পিতার ঘনিষ্ঠ সেজেছিলি
তোরা সেদিন শিশুরাসেলকেও নিস্তার দিসনি।
বঙ্গমাতার কলিজা বিদীর্ণ করে সন্তানদের খুন করেছিলি
বিশ^াসঘাতক নরপিশাচের দল
তোরা আজও আছিস বহুত কায়দাকানুন করে।
নব্য আওয়ামীলীগ সাজতে চাস তোরা
মুজিব কোট পরে ছদ্মবেশে বারবার চক্রান্ত করতে চাস তোরা।
ওরে বেহায়া নির্লজ্জের দল তোদের নষ্ট দুর্গন্ধ মুখে জাতির পিতার পবিত্র সহধর্মিনী ও তাঁর সোনার সন্তানদের নাম বন্দনা করে চলেছিস আজ।
তোরা দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর, চাটুকার মিথ্যুক,
সাপের চেয়ে ভয়ঙ্কর।
তোরা মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানদের ভয় পাস,
তোরা দেশশত্রু রাজাকারের সন্তান,
২১ আগস্টে তাই তোরা বঙ্গমাতার কন্যা শেখ হাসিনা
এবং তাঁর কর্মীদের উপর গ্রেণেড হামলা করিস।
ঘৃনিত তোরা, তোরা জাহান্নামের কীট,
তোরা দখলবাজ, লেবাসধারী,
জাতি তোদের চিনে নিয়েছে, তোরা যতই রং বদলাস,
মানুষ নামের কলঙ্ক তোরা।
তোদের জন্য কোনো করুনা অবশিষ্ট নেই আমাদের
থু থু তোদের চোখে মুখে
তোদের ক্ষমা নেই
অবশ্যই তোদের ক্ষমা নেই
সাজা তোদের হবেই।
তুমি ভেবোনা মাগো হে বঙ্গমাতা
ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে শেষ ঠিকানা হবে ওদের।
তুমিই আমার মহান সাহস তাই নির্ভয় আমি,
আমি আজও নিরবচ্ছিন্ন মুক্তিযোদ্ধা
তোমাকে স্মরণকরি বিন¤্র শ্রদ্ধায় হে বঙ্গমাতা।
কবি : সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
দর্শন বিভাগ
ডা. আবুল হোসেন কলেজ, রাজবাড়ী